তিলোত্তমায় রেমাল তান্ডব

রেমালের কোপে কমবেশি ক্ষতি এই রাজ্যে। হুগলির ভদ্রেশ্বরে পুরোনো বাড়ি ভেঙে আহত এক মহিলা। বাবুরবাজারে তেলেনিপাড়ায় এফ জি স্ট্রিটের একটি পুরোনো ফাঁকা বাড়ি ভেঙে পড়ে পাশের বাড়িতে।

তিলোত্তমায় রেমাল তান্ডব

আলিপুর আবহাওয়া দফতর কথা দিয়েছিল কলকাতায় রেমাল ভয়াবহভাবে আছড়ে পড়বে। স্ট্যান্ড রোড, এমজি রোড, কাঁকুড়গাছি আনোয়ার শা রোড সহ একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। আতঙ্কে মানুষের ঘুম দু'দিন আগে উবে গেলেও ঝড় কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গাছে ভেবে আস্বস্তও হয়েছে। সুখের চেয়ে স্বস্তি ভাল। কলকাতা পুরসভার ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের কর্মীরা গাছ কেটেছে। রাস্তা পরিষ্কার হয়েছে এইভাবেই, যদিও সপ্তম দফার লোকসভার নির্বাচনের সাতদিন আগে সন্ধ্যার পর পরিবহন প্রায় ছিলই না তাই বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি ছিল। সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। অঝোরে বৃষ্টি চলেছে সোমবারও। রেমালের কোপে কমবেশি ক্ষতি এই রাজ্যে। হুগলির ভদ্রেশ্বরে পুরোনো বাড়ি ভেঙে আহত এক মহিলা। বাবুরবাজারে তেলেনিপাড়ায় এফ জি স্ট্রিটের একটি পুরোনো ফাঁকা বাড়ি ভেঙে পড়ে পাশের বাড়িতে। তিনটি সাইকেল ও একটি বাইক তাতে তাতে চাপা পরে যায়। 

কলকাতা স্বস্তি পেলেও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর স্বস্তি পাইনি। উপকূলে তান্ডব। দিনভর ঝড়বৃষ্টি। দমকা হাওয়া জলচ্ছাস। তবে যাই হোক না কেন এই রেমাল অনেকটাই যেন আমফানের স্মৃতি উস্কে দিয়ে গেল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস না মেলায় অনেকেই যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। টিভি চ্যানেলগুলি লাগাতার চিলচিৎকার করে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরী করেন। ৮ সদস্যের টিম গড়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেছেন, আমজনতার জন্য রাজভবনের দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা। যদিও সবথেকে বড় কথা ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো তেমন নেই। নেই মৃত্যুর খবরও। এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে?