বার্ড-ফ্লু-এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত সিলের নির্দেশ মমতার

বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত সিল করা হোক এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata orders)। এরপরই ফাঁক রাখতে নারাজ পুলিশ। ২৪ ঘণ্টাই দিঘা বর্ডারে চলছে নানা চেকিং। কারণ, বাংলার প্রতিবেশী ওড়িশা।

বার্ড-ফ্লু-এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত সিলের নির্দেশ মমতার

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয কর্মকার, ১১ই সেপ্টেম্বর:বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত সিল করা হোক এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata orders)। এরপরই ফাঁক রাখতে নারাজ পুলিশ। ২৪ ঘণ্টাই দিঘা বর্ডারে চলছে নানা চেকিং। কারণ, বাংলার প্রতিবেশী ওড়িশা। আর সেখানে হানা দিয়েছে ‘বার্ড ফ্লু'(Bird flu)।এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ওড়িশার অসুস্থ মুরগি বাংলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্যবসার স্বার্থেই এমন কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওড়িশার এই অসুস্থ মুরগি বাংলায় ঢোকাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এমনকি রেলপথের মাধ্যমেও যাতে ওড়িশার মুরগি বাংলায় ঢুকতে না পারে তাঁর জন্য রেলের সঙ্গে বৈঠক করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিবকে। 

ইদানিং রাজ্যের নানা প্রান্তে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের(bird-flu infection) খবর মিলেছে। সামনে দুর্গাপুজো। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী আগাম সতর্ক করে জানান, ‘আমার কাছে খবর এসেছে ওড়িশায় বার্ড ফ্লু ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। তারপরও মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এই সীমানা দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাংলায় অসুস্থ মুরগি নিয়ে আসছেন। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু পচা জিনিস নিয়ে এসে মানুষের অসুস্থ করে ফেলা সমর্থনযোগ্য নয়। আমি অফিসারদের নির্দেশ দিচ্ছি, সীমান্ত সিল করা হোক। যাতে ওড়িশার মুরগি বাংলায় না ঢোকে।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফ-কে কড়া নির্দেশ দেন। তাঁর বক্তব্য, ‘কয়লা, গরু, বালি পাচার দেখার দায়িত্ব বিএসএফের। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফকে বলব সীমানা কড়া হাতে রক্ষা করুন। কেউ টাকা খেয়ে পাচার করবে আর আমাদের সরকার তার বদনাম কুড়াবে এটা চলতে পারে না। সীমান্ত সুরক্ষা দেওয়ার কাজ বিএসএফের। এখানে কোনওরকম গাফিলতি। চলবে না। আমি পুলিশকেও বলব চোখ কান খোলা রাখতে। যাতে এমন কোনও কাজ হতে না পারে।’

এদিকে কয়েকদিন বাদেই দুর্গাপুজো পালিত হবে রাজ্যজুড়ে। সেখানে অসুস্থ হলে পুজো মাটি হয়ে যাবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ওড়িশায় অসুখ সেরে গেলে আমরা ওদের জিনিস নেব। কিন্তু মানুষকে বিপদে ফেলে এটা করতে দেওয়া যায় না। বার্ড ফ্লু যতক্ষণ না ঠিক হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্য সরকারের সব নির্দেশ মানতে হবে।‘