সেপটিক ট্যাঙ্কেই মিলল সাংসদের দেহাংশ
এবার সেখান থেকেই উদ্ধার হল দেহাংশ, চামড়া ও চুল। ওজনে প্রায় ৪ কেজি। এই মাংসের অংশগুলি ঘাতক কসাই জিহাদ হাওলাদার ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা: অবশেষে খোঁজ মিলল বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ। মঙ্গলবার নিউটাউনের আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি শুরু করে সিআইডি। এবার সেখান থেকেই উদ্ধার হল দেহাংশ, চামড়া ও চুল। ওজনে প্রায় ৪ কেজি। সিআইডি সূত্রে খবর, এই দেহাংশ ও চুল বাংলাদেশের সাংসদেরই কিনা জানতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরোটরিতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাংসদের দেহ বা দেহাংশের খোঁজ শুরু হয়। আবাসনের ভিতরে সুসজ্জিত জলাশয় থেকে সেপটিক ট্যাঙ্ক সর্বত্র খোঁজ চালায় তদন্তকারীদল। আবাসনের নিকাশি পাইপ খুলে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি এই আবাসনের নিকাশি নালা গিয়ে যে কেষ্টপুর খালে মেশে সেখানেও তল্লাশি চলে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং আবাসনের নিকাশি ব্যবস্থার কর্মী সিদ্ধেশ্বর মণ্ডল জানিয়েছেন, একটি কাঁচের জারে নুন মিশ্রিত জলে মাংসগুলি রাখা হয়েছিল। অনেকটা পকোড়ার মতো দেখতে ছিল সাংসদের দেহাংশ। এই মাংসের অংশগুলি ঘাতক কসাই জিহাদ হাওলাদার ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। কোনও ভাবে দেহাংশ পাইপ বা বাথরুমে ফ্ল্যাশ করে বাইরে বার করে দেওয়া হতে পারে, এমনটা আগেই সন্দেহ করেছিলেন গোয়ান্দারা। মঙ্গলবার দেহাংশের খোঁজে সাংসদ যেখানে খুন হয়েছেন, সেখানকার নিকাশি পাইপ, সেপটিক ট্যাঙ্ক পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া আবাসনের উলটোদিকে বাগজোলা খালেও তল্লাশি চলে। দিনভর টানা তল্লাশি অভিযানের পর সেপটিক ট্যাঙ্ক ভাঙা হয়। সূত্রের খবর, এরপর সন্ধে নাগাদ সেই পাইপ থেকেই সাংসদের মরদেহের খণ্ডাংশ পাওয়া গিয়েছে।