আরজি করের ছায়ায় নার্সের উপর নৃশংসতা: বীরভূমের ইলামবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আতঙ্ক।

আরজি করের ছায়ায় নার্সের উপর নৃশংসতা: বীরভূমের ইলামবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আতঙ্ক।
  আরজি কর হাসপাতালে ঘটনার তীব্র তাপ এখনও শান্ত হওয়ার আগেই, বীরভূমের ইলামবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক নার্সের উপর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাটি রাজ্যবাসীর মনে আবারও নারীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বীরভূমের ইলামবাজার থানার ইলামবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অভিযোগ, চিকিৎসা করতে এসে ওই নার্সকে শ্লীলতাহানি করেন এক রোগী। এর পর ওই রোগীকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। খবর পেয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ইলামবাজার থানার পুলিস‌। জানা গিয়েছে, চিকিৎসাধীন অবস্থাতাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তের নাম আব্বাসউদ্দিন শেখ। তাঁর বাড়ি ইলামবাজারের ছোটচক গ্রামে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালটি ঘিরেও রাখে পুলিস। এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ হিমাদ্রি আঁড়ি বলেন, “কর্তব্যরত নার্সকে অভিযুক্ত শ্লীলতাহানি করেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। দ্রুত পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। পুলিস যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে ডাক্তার ও নার্সের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই।”
নার্সের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
ঘটনার পর নার্স অত্যন্ত আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীন বোধ করছেন। তিনি বলেন, "আমি কখনো ভাবিনি, রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। রোগীর বাড়ির লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। তারপরও এমন ঘটনা ঘটল।"
হাসপাতালে উত্তেজনা
এই ঘটনায় হাসপাতালে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই ঘটনা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। তারা নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়ে উঠেছেন।
সমাজের প্রতিক্রিয়া
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনা সেই প্রশ্নকে আরও জোরালো করে তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মানুষ নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলছে।
কীভাবে এমন ঘটনা রোধ করা যায়?
এমন ঘটনা রোধ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পাশাপাশি, সমাজে নারীদের প্রতি সম্মান জাগিয়ে তোলা এবং নারী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি।