পুজোর আগে ঝরাতে চান শরীরের অতিরিক্ত মেদ!ফলো করুন এই টিপসগুলি

আপনার পেটে কি মেদ জমেছে? পেটের চর্বির কারণে কোনও জামাকাপড়ই ঠিকমতো ফিট হচ্ছে না? ভাবছেন কীভাবে পেটের এই অতিরিক্ত চর্বিরা হাত থেকে মুক্তি পাবেন? তাহলে জেনে রাখুন নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ ঝরাতে কী ধরনের খাবার খাবেন।

পুজোর আগে ঝরাতে চান শরীরের অতিরিক্ত মেদ!ফলো করুন এই টিপসগুলি

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১৬ই সেপ্টেম্বর:আপনার পেটে কি মেদ জমেছে? পেটের চর্বির কারণে কোনও জামাকাপড়ই ঠিকমতো ফিট হচ্ছে না? ভাবছেন কীভাবে পেটের এই অতিরিক্ত চর্বিরা হাত থেকে মুক্তি পাবেন? তাহলে জেনে রাখুন নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ ঝরাতে কী ধরনের খাবার খাবেন।

লাউ : লাউয়ে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে, জলের পরিমাণ বেশি থাকে। এ কারণে লাউ ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে আঁশজাতীয় পদার্থ থাকায় দ্রুত পেট ভরিয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি লাউয়ের জুস বানিয়েও খাওয়া যায়।

গাজর : গাজর যেমন চোখের জন্য ভালো তেম্ন পেটের চর্বি কমাতেও উপকারী। গাজরে ক্যালরির পরিমাণ কম, আঁশের পরিমাণ বেশি। গাজরে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। গাজর বেশি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে।

পালংশাক : পালংশাক পেটের মেদ কমাতে প্রতিদিনের খাবারে রাখতে পারলে ভালো। পালংশাকে ক্যালরি কম, আঁশ বেশি থাকে। তাই পালংশাক খেলে পেট বেশি সময় ধরে ভরা থাকে। পালংশাকের ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

করলা : তেতো হলেও এর স্বাদ কিন্তু অনেক। করলা শরীরে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। করলা খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পেটের মেদ কমে। রান্না করে খেতে পারেন পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতে করলার জুস খাওয়া যেতে পারে।

ফুলকপি : ফুলকপিতে ক্যালরি কম থাকে, আঁশ বেশি থাকে। ফলে ফুলকপি খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়। ফুলকপিতে ইনডোলের মতো বেশ কয়েকটি যৌগ রয়েছে। এসব যৌগ হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেটের মেদ কমায়। 

ব্রকলি : ব্রকলি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি পেটের মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। ব্রকলিতে প্রচুর আঁশ থাকে। ব্রকলি খেলে পেটের নিচে জমা ভিসেরাল ফ্যাট কমে যায়। ব্রকলি ভেজে, স্যালাড, স্যুপের মধ্যে দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

শসা : শসা শরীরে জলের পরিমাণ বাড়ায়। জলের পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন কমানোয় শসা বেশ উপকারী। শসায় ক্যালরির পরিমাণ কম। এটি শরীর থেকে দূষিত উপাদান বের করে দিতে সহায়ক। ওজন কমানোর জন্য শসা টুকরা টুকরো করে খেলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়।