শুনানির সময় পাওয়াই গেল না ইনকোয়েস্টের চালান

আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, ৯ সেপ্টেম্বর: তিলোত্তমার সঠিক ভাবে ময়নাতদন্ত আদৌ হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে শুনানির সময়ে এই প্রশ্ন সামনে এল। এদিনের শুনানির সময়ে সিবিআই-এর (CBI) তরফে সংশয় প্রকাশ করে বলা হয়, ‘এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথম ৫ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা ৫ দিন পরে গিয়েছি। তখন কিছু পাল্টে গিয়েছে।’

সোমবার ফিরোজ এডুলজি সওয়াল করতে গিয়ে জানান, নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট শকিং। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির এজলাসে এডুলজি এও বলেন, ‘দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ১০ বার জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। আর সন্দেহ এখানেই যে, পুরোটা পরে তৈরি করা হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে।’ এরই পাশাপাশি এডুলজিও এদিন এ প্রশ্ন তোলেন, এফআইআর দায়ের না করে কী ভাবে তদন্ত শুরু হল তা নিয়েও। আর এখানেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না সেই তথ্য নষ্ট করারও।

এরপরই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ময়নাতদন্তে যাওয়ার সময়ে চালান কোথায়? তিনি বলেন, ‘পোস্টমর্টেমে যখন দেহ দেওয়া হল সেই সময় ডাক্তাররা ইনকোয়েস্টের চালান ভরেছিলেন সেটা কোথায়? সিবিআইকে সেই চালান দিতে হবে।’ এরপরই খোঁজ শুরু হয় চালানের। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল ও সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহেতা দু’জনই নথি হাতড়ে চালানের খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু চালান খুঁজে পাননি কেউই।

এরপর প্রধান বিচারপতি রাজ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘এই ফর্মে আরও একটা কলম আছে। যেখানে মৃতদেহের পোশাক এবং অন্যান্য যা যা সিজারে আছে তা পোস্টমর্টেমের চিকিৎসকদের দিতে হবে।’ বিচারপতি পার্দিওয়ালা এই প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে জানান, ‘এই চালান না পাওয়া গেলে রাজ্যকে কৈফিয়ত দিতে হবে।’

বিচারপতি পার্দিওয়ালা এদিন এও বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী যে কনস্টেবল ছিলেন, তার এই চালান নিয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু সেই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি। যদি এই চালান না পাওয়া যায় তাহলে রাজ্য সরকার দায়ী থাকবে।’