সুপ্রিম কোর্ট নিল এক বড় সিদ্ধান্ত!
জেলেতে যেই সব আসামিরা থাকে। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু কাজ থাকে ম্যানুয়াল অনুযায়ী। তবে এবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন জানিয়ে দিয়েছে, জেলে জাতধর্ম দেখে এবং নিচুজাতের জন্য কিভাবে কাজ রাখা হয়।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৩রা অক্টোবর: জেলেতে যেই সব আসামিরা থাকে। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু কাজ থাকে ম্যানুয়াল অনুযায়ী। তবে এবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন জানিয়ে দিয়েছে, জেলে জাতধর্ম দেখে এবং নিচুজাতের জন্য কিভাবে কাজ রাখা হয়। যেমন- কাগজ কুড়ানো, পরিষ্কার করা ইত্যাদি। আর অন্যদিকে উঁচু জাতিদের জন্য খাবার পরিবেশন করা, রান্না করার মতো এই ধরনের কাজ রাখা হয়। এখন থেকে এইসব নিয়ম বাতিল। রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালত তরফ থেকে এই ম্যানুয়ালে সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এভাবে কারোর জন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে বা জাত দেখে কাজ ভাগ করা যাবে না।
প্রত্যেক জেল কর্মীদের সব ধরনের কাজ করতে হবে।শুধু তাই নয়, জেলের রেজিস্টারে বা বিচারাধীন বন্দিদের নাম রেজিস্টারের সময় জাতপাতের উল্লেখ করারও প্রয়োজন নেই।প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, জেলে যেভাবে জাতপাতের ভিত্তিতে কাজ বণ্টন করা হয়, সেটা সংবিধানের ১৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী। সংবিধানের ওই ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ, জন্মস্থান, এসবের ভিত্তিতে কোনওরকম বৈষম্য সমর্থনযোগ্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, এখনও যেভাবে সমাজে জাতির নামে বৈষম্য হচ্ছে, সেটা দুঃখজনক।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ঐতিহাসিক। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি জাতিগত জনগণনার দাবিতে আন্দোলন করছে, সংরক্ষণ দেশের রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, সেখানে সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে জেলে জাতপাতের বৈষম্য ওড়াতে তৎপর হল, সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।