মহারাষ্ট্রের ভোটপ্রচারে গিয়ে মিথ্যে ভাষণ! নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এমনি ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্য

মহারাষ্ট্রের শিবিরে অভিযোগ যে ভোটপ্রচারে বিভাজনমূলক, বিভেদকামী ও মিথ্যে ভাষণ দেওয়া হচ্ছে। আর সেই অভিযোগগুলো এসেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে। এবং কংগ্রেসের দাবি, তারা মোদি এবং শাহের বিরুদ্ধে করা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

মহারাষ্ট্রের ভোটপ্রচারে গিয়ে মিথ্যে ভাষণ! নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এমনি ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্য

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৫ নভেম্বর: মহারাষ্ট্রের শিবিরে অভিযোগ যে ভোটপ্রচারে বিভাজনমূলক, বিভেদকামী ও মিথ্যে ভাষণ দেওয়া হচ্ছে। আর সেই অভিযোগগুলো এসেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে। এবং কংগ্রেসের দাবি, তারা মোদি এবং শাহের বিরুদ্ধে করা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। 

কংগ্রেসদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী তাদের জোট সঙ্গীদের নিয়ে মিথ্যে ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করেছেন। শিবিরের লোকেরা বলেন অমিত শাহ মহারাষ্ট্রে গিয়ে ভুলভাল মিথ্যে প্রচার করছেন। তার সঙ্গে কংগ্রেসরাও বলেন, বিজেপির এই দুই প্রচারককে ঝাড়খন্ড এবং মহারাষ্ট্র ভোট প্রচার থেকে বাদ দিতে হবে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে দলের তরফে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ভোটপ্রচারে গিয়ে মোদিকে বলতে শোনা যায়, “গত ১০ বছর ধরে একজন ওবিসি প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন। সেটাই কংগ্রেস সহ্য করতে পারছে না।" প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের এজেন্ডায় সাড়া দিয়ে দেশে বিভাজন আনার চেষ্টা করছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। দুর্নীতি ইস্যুতেও কংগ্রেসকে বিঁধেছেন মোদি। তাঁর দাবি ছিল, “যেখানে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়, সেই রাজ্য কংগ্রেস রাজপরিবারের এটিএম হয়ে যায়। আজকাল হিমাচল, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি কংগ্রেসের রাজপরিবারের এটিএম হয়ে উঠেছে।" জওহরলাল নেহেরু, রাজীব গান্ধীকে জড়িয়েও একাধিক অভিযোগ করেছেন মোদি। কংগ্রেসের দাবি, এসব অভিযোগই ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। শাহের বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগ করেছে হাত শিবির।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগেও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছিল হাত শিবির। নির্বাচন কমিশন শুধু প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। এবার কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা সেটাই দেখার।