বোম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ! নাবালিকার অনুমতিতেই যৌন সম্পর্কে মিলন

যদিও তারা যৌন সম্পর্কে থাকে তাহলে সেটা ধর্ষণের মধ্যে শামিল। এমনটাই রায় দিলেন বম্বে হাই কোর্ট। যদি ধরেও নেওয়া হয় ওই নাবালিকাকে তার স্ত্রী এর সম্মতি দিয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন অভিযুক্ত, তাহলে তাতে তাঁর অপরাধ ক্ষমা করা যায় না।

বোম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ! নাবালিকার অনুমতিতেই যৌন সম্পর্কে মিলন

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১৫নভেম্বর: আইনের নিয়ম অনুযায়ী কোন মেয়ের ১৮ বছরে বিবাহিত হলে তার বয়স যদি কম হয় তাহলে না বালিকার বিবাহ গণ্য করে আইন। যদিও তারা যৌন সম্পর্কে থাকে তাহলে সেটা ধর্ষণের মধ্যে শামিল। এমনটাই রায় দিলেন বম্বে হাই কোর্ট। যদি ধরেও নেওয়া হয় ওই নাবালিকাকে তার স্ত্রী এর সম্মতি দিয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন অভিযুক্ত, তাহলে তাতে তাঁর অপরাধ ক্ষমা করা যায় না।

এক তরুণী তার স্বামীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার অভিযোগ তুলেছে। তারা বলেন, অভিযুক্ত যুবক তাদের বাড়িতেই থাকতেন। এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করারও চেষ্টা করেন। প্রথমে ওই তরুণী রাজি হননি। কয়েকদিন পরে ওই তরুণীকে আজও সুখে কাশির শহরে যেতে হয়, সেই সময় ওই যুবক তার পিছনে যায়। এরপরে ওই শহরে গিয়ে তার একে অপরের কাছাকাছি আসে, প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন প্রতিবেশীদের সাক্ষী রেখে ওই নাবালিকার সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে করেন। স্বাভাবিক স্বামী স্ত্রীর মতো যৌন সম্পর্কও তৈরি হয়। ঘটনাচক্রে তখনও ওই তরুণী নাবালিকা ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের এক রায়কে উদ্ধৃত করে বম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তাঁর অনুমতি সাপেক্ষ হলেও সেটা ধর্ষণ। ওই নাবালিকা বিবাহিত কিনা, সেটা এক্ষেত্রে বিচার্য নয়। আইন অনুযায়ী, তাঁর 'সম্মতি' গণ্য করা যায় না। আদালত বলছে, "যদি ধরেও নেওয়া হয় অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে বিয়ে করেছিলেন, তার পরও নাবালিকা অভিযোগ করেছেন। যার অর্থ ওই যৌন সম্পর্কে তাঁর সম্মতি ছিল না।"