এক পাথর থেকে অন্য পাথরে লাফিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা! পা পিছলে গুহাবন্দি তরুণী

সোমবার কর্নাটকে পাহাড় দেখতে গিয়ে এক তরুণী পাথরের ফাঁকে পড়ে যায়। এবং টানা ২২ ঘণ্টা জলের মধ্যে আটকে থাকার পর তাকে উদ্ধার করা হয়।

এক পাথর থেকে অন্য পাথরে লাফিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা! পা পিছলে গুহাবন্দি তরুণী

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৯ অক্টোবর: সোমবার কর্নাটকে পাহাড় দেখতে গিয়ে এক তরুণী পাথরের ফাঁকে পড়ে যায়। এবং টানা ২২ ঘণ্টা জলের মধ্যে আটকে থাকার পর তাকে উদ্ধার করা হয়। তরুণীটি আর কপালজোরে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। কর্নাটকের তামাকুরুর মাইডালা হ্রদ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল।

খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীটির বয়স মাত্র উনিশ বছর। রবিবার দিন বান্ধবীদের সঙ্গে তুমাকুরুর মাইডালা হ্রদ দেখতে গিয়েছিল। মেয়েটি ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা। সেখানে ঝরনার একদিকের পাথর থেকে অন্যদিকের পাথরে লাফ দিতে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে পা পিছলে সে পড়ে যান। দুটো পাথরের মাঝখানে অনেকখানি ভিতরে তিনি আটকে ছিলেন। রবিবার দুপুরে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছলে তারা ৬০ জন পুলিশের দল নিয়ে মেয়েটিকে খোঁজার অভিযানে নাবে। প্রত্যেকটা পাথরের ফাঁকে তারা তল্লাশি চালায় তবে রাত্রেবেলা করে উদ্ধার কাজ করা সম্ভব হয়নি। সোমবার স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে সকালে ফের শুরু হয় উদ্ধারের চেষ্টা।

হাসপাতাল থেকেই সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামসা বলেন, "আচমকা পা পিছলে তলিয়ে যাই। চোখ খুলে দেখি, চারপাশে শুধু অন্ধকার। শুধু জলের শব্দ ছাড়া কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম না। তবে বুঝতে পারছিলাম যেখানে আমি পড়েছি, সেখান থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছি আমি। এভাবে দীর্ঘক্ষণ কাটানোর পর আমি শুনতে পাচ্ছিলাম উপরে কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে। ফলে কিছুটা আশ্বস্ত হই আমাকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।"

উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে শশীধর বলেন, "আমাদের কর্মীরা জীবন বাজি রেখে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছেন। উদ্ধারের পর হামসার মা যখন মেয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠেন ওই দৃশ্য আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের ছিল। তবে আমাদের চেষ্টার পাশাপাশি হামসার আত্মবিশ্বাস ও সাহস প্রশংসনীয়। অন্ধকার গুহায় এতক্ষণ কাটানো মুখের কথা নয়।" হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে দীর্ঘক্ষণ জলে থাকার জেরে তরুণীর শরীর সাদা হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর শরীরের নানা জায়গায় ছোট বড় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।