আর জি কর আন্দোলনে একাধিকবার রাত দখল কর্মসূচিও নাকি করেছে রাহুল!দাবি তৃণমূল নেতা নেত্রীদের
এখন আর জি করের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের কান্ডে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। ভোর দখল, রাত দখলের মতন একাধিক কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা ও জুনিয়র ডক্টররা। এবার কৃষ্ণনগর কাণ্ডের ধৃত রাহুল বসু সেই আন্দোলনেরই নাকি মুখ ছিল।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১৮ই অক্টোবর: এখন আর জি করের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের কান্ডে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। ভোর দখল, রাত দখলের মতন একাধিক কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা ও জুনিয়র ডক্টররা। এবার কৃষ্ণনগর কাণ্ডের ধৃত রাহুল বসু সেই আন্দোলনেরই নাকি মুখ ছিল। তৃণমূল নেতাদের বিস্ফোরক দাবি সোশাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাসের দাবি, "রাহুল বসু কৃষ্ণনগরে আর জি কর আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিল। প্রতিটি রাত দখলের প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকত।শুধু তাই নয়, লাগাতার সে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ/ মৃত্যু কামনা করেছে, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পোড়ানোর ভিডিও শেয়ার করেছে ও কুরুচিকর মন্তব্য করেছে। হয়তো যেই মেয়েটি খুন হল (তার প্রেমিকা) তার সাথে হয়তো এই আন্দোলনের মিছিলেও হেঁটেছে। হয়তো মিছিলের অছিলায় তার সাথে ঘনিষ্ঠতা। এরকম একা রাহুল নয়, রাহুলের মতো হাজারও হাজারও ধর্ষক উই ওয়ান্ট জাস্টিস চিৎকার করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সব প্রতিবাদ মিছিলে, প্রতিবাদীর মুখোশের আড়ালে।"
গত ১৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনায় নিহতের পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয় ছাত্রীর। এদিন সন্ধেয় বাড়িতে পৌঁছয় নির্যাতিতার দেহ। মৃত মেয়েকে দেখে জ্ঞান হারান ছাত্রীর বাবা।