সুস্থ থাকবে শরীর ভূতের সিনেমা দেখলে! আসুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৯ অক্টোবর: ভূতের সিনেমা দেখতে আমরা বেশিরভাগ মানুষই ভয় পাই। আবার অনেকে পছন্দও করে। ঘর অন্ধকার করে নীলাভ আলো জ্বালিয়ে অনেকেই ভূতের সিনেমা দেখে ফলে ভয় তাদের গলা শুকিয়ে আসে। এইদিকে সিনেমা দেখার এতই আগ্রহ যে চোখ কিছুতেই অন্যদিকে ঘোরানো যাচ্ছে না। যারা বেশিরভাগ সময় ভূতের সিনেমা দেখে অভ্যস্ত তাদের কাছে ওই দৃশ্য বাস্তব হল ক্ষতি নেই। ভয় যতই লাগুক না কেন ভুতুড়ে গল্প, সিনেমার প্রতি ভালবাসা অনেকেরই রয়েছে। এইসব মানুষদের জন্য গবেষকরা শোনালো এক ভালো খবর। পিলে চমকানো ভয়ের সিনেমা দেখলে ভালো থাকবে শরীর, মন, স্বাস্থ্য সবকিছু।হ্যাঁ, এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা। কীসের ভিত্তিতে?
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি-
ভূতের সিনেমা দেখলে মানুষের মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও সচেতন হয়ে ওঠে। আচমকা রিল লাইফের প্রেতাত্মার চিৎকারে আপনিও হয়তো বার বার সোফা কিংবা বিছানায় লাফিয়ে ওঠেন। এতে কিন্তু প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়। গবেষকদের দাবি, একটি ভূতুড়ে সিনেমা দেখা প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার সমান।
ভয়ের সিনেমা আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্ত করে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। সিনেমার ভয়ে আপনি এতটাই মশগুল হয়ে যান যে তখন বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলি ছোট মনে হয়।
ধরুন ‘রাগিনী এমএমএস’ কিংবা ‘এভিল ডেড’ দেখতে বসেছেন। এই সময় আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু সবচেয়ে বেশি সজাগ থাকবে। ফলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। আপনার মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
ব্যক্তিগত জীবনে সুখ নেই, অফিসে শান্তি নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভয়ের সিনেমা দেখার চাইতে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। কারণ ভয় এতটাই তীব্র অনুভূতি যে তা অন্যান্য ভালো-মন্দ গুলোকে জীবনে গৌণ করে দেয়।