'ডানা'র প্রভাবে বাংলার কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি!

ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে মানুষের চেয়ে কৃষকদের অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের মাঠের ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে, খেতে জল ঢুকে গিয়েছে এবং ধানগাছগুলো নুইয়ে পড়েছে। ফুল সহ অন্যান্য সবজির চাষেও যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

'ডানা'র প্রভাবে বাংলার কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি!

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৭ অক্টোবর: ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে মানুষের চেয়ে কৃষকদের অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের মাঠের ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে, খেতে জল ঢুকে গিয়েছে এবং ধানগাছগুলো নুইয়ে পড়েছে। ফুল সহ অন্যান্য সবজির চাষেও যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির কারণে,পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি-সহ ৯টি জেলায় প্রায় এক লাখেরও বেশি জমির ফসল দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কৃষি দপ্তরের প্রথমিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এবং কৃষি দপ্তরদের বিশেষ দল সোমবার থেকে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে আসবে। এরমধ্যে কুড়ি হাজার হেক্টর জমির ফসল শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই নষ্ট হয়েছে।

রাজ্যের কৃষি দপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরে যে কুড়ি হাজার হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে তার মধ্যে ১৭ হাজার জমিতে আমন ধানের চাষ করা হতো। এবং অনেক জায়গার ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। সব জমিতে জলে ভরে যাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেড়ে গেছে। তাছাড়া ৩০০০ হেক্টর জমিতে ঢাকা সবজি, পান ও উই চাষের ক্ষতিও হয়েছে। অনেক জায়গায় মাছের ভেড়ি ও কুকুর সব ভেসে গিয়েছে।এ ছাড়াও ৩০০০ হেক্টর জমিতে থাকা ফুল, সবজি এবং পানচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় মাছের ভেড়ি ও পুকুর প্রায় ভেসে গিয়েছে। আর গ্রামের রাস্তাগুলো প্রায় জলের তলায়। ধান ও মাছ দুটোতেই ক্ষতির আশঙ্কা বেড়েছে। হুগলি জেলাজুড়ে প্রায় ১২০০ হেক্টর জমির সবজি আর ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় চাষবাসের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।

বাগনান, দেউলটি-সহ ফুলচাষের এলাকাগুলিতেও জল জমে ফসল পচে গিয়েছে। রাজ্যের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস‌্যবিমার আবেদনের মেয়াদ আরও একমাস বাড়ানো হয়েছে। মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, একজন কৃষকও যেন ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়।

বিভিন্ন জেলা থেকে শনিবারও কৃষকরা নবান্নে ফোন করে তথ‌্য দিয়েছেন। দপ্তরের প্রধান সচিব ওঙ্কারসিং মিনা বিষয়টির তদারকি করছেন। তবে কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, এখনও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। বৃষ্টি কমে রোদ ওঠার পর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়া যাবে।