অভয়া তহবিল নিয়ে তদন্তের দাবি উঠতেই চাপে অনিকেতরা!
অভয়ার বিচারের জন্য যে কোটি কোটি টাকা সংগৃহীত করেছে তা নিয়ে তদন্ত করার দাবি উঠেছে। সমানঅধিকারের দাবিতে সরকারি কমিটি গুলো প্রবল চাপে পড়ে যায়।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৩০ অক্টোবর: অভয়ার বিচারের জন্য যে কোটি কোটি টাকা সংগৃহীত করেছে তা নিয়ে তদন্ত করার দাবি উঠেছে। সমানঅধিকারের দাবিতে সরকারি কমিটি গুলো প্রবল চাপে পড়ে যায়। কোণঠাসা অনিকেত ও কিঞ্জলদের জুনিয়র ডাক্তারা তাদের ‘বি টিম’-কে আসরে নামাল।
রাজ্য সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৯ আগস্ট এর পর প্রবল আন্দোলন চালিয়েছিল। তখন মঙ্গলবার বৈঠক করা প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টর্স নামের এই সংগঠন কার্যত ইঁদুরের মতো গর্তে ঢুকেছিল। প্রকাশ্যে পাল্টা আন্দোলন বা রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের হয়ে রাস্তায় নামা দূরের কথা, একলাইন বিবৃতিও কোনও সংবাদ মাধ্যমে দিতে দেখা যায়নি ফ্রন্টের ঘনিষ্ঠ এই প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টরদের। এখানেই শেষ নয়, এদিন প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে নিজেদের তৃণমূলপন্থী বলে দাবি করলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে যখন অনিকেত-কিঞ্জলরা কর্মবিরতি চালিয়ে লক্ষ লক্ষ রোগীকে চরম দুর্ভোগে ঠেলে দিয়েছিলেন, তখন এঁরা প্রতিবাদ না করে কেন মুখ বুজে বাম-অতিবামদের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন?
অভয়ার ন্যায়বিচারের পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবায় আরো ভালো করার কথা দাবি করেছেন। যার কারণে, বস্তুত নয়া সংগঠন জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন আত্মপ্রকাশের পর মাত্র চার দিনেই রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করা আমজনতার মনে জায়গা করে নিয়েছে। মুখ্যসচিবকে পাঠানো ই-মেলে অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, শুধু চিকিৎসক নন, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী-সহ চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত সমস্ত কর্মীরই নিরাপত্তা চাই। আর এই দাবি উঠতেই শ্রীশ-অতনুদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতালগুলির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও।
আর সেই কারণে বিপাকে পড়ে অনিকেত-কিঞ্জলরা এবার আড়াই মাস ধরে ইঁদুরের মতো গর্তে লুকিয়ে থাকা তাঁদের ‘বি টিম’-কে কুৎসা-অপপ্রচার করতে মাঠে নামিয়েছে। কারণ, ফ্রন্টের হয়ে আন্দোলনে নামা ‘বিপ্লবী’ রামপুরহাটের শেখ শাহবাজ থেকে শুরু করে সাগর দত্তর আকাশ রাইদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ দিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর নথি এবং অভিযোগ প্রকাশ্যে আনতেই চরম বিপাকে জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট।