জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চালানো যথাযথ হচ্ছে কি না প্রশ্ন কুণালের!

বৃহস্পতিবার-ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেননি জুনিয়র ডাক্তারেরা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনেই অবস্থানে বসে রয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কতজন জুনিয়র চিকিৎসক কাজে যোগ দিল বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের থেকে জানতে চাইল স্বাস্থ্য ভবন। দুপুর দুটোর মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে বলা হয়।

জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চালানো যথাযথ হচ্ছে কি না প্রশ্ন কুণালের!

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১৩ই সেপ্টেম্বর:বৃহস্পতিবার-ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেননি জুনিয়র ডাক্তারেরা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনেই অবস্থানে বসে রয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কতজন জুনিয়র চিকিৎসক কাজে যোগ দিল বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের থেকে জানতে চাইল স্বাস্থ্য ভবন। দুপুর দুটোর মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে বলা হয়। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বৈঠকে ডাকল নবান্ন, অন্তত এমনটাই সূত্রে খবর। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হবে না, তবে তা রেকর্ড করা হবে।

এদিকে দুয়ারে পুজো। পুজো ও চিকিৎসকদের অবস্থান নিয়ে কী ভাবছে তৃণমূল তা নিয়ে এবার মুখ খুলতে দেখা গেল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তাঁর কথায়, ‘আমরা বারবার অনুরোধ করছি জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে। সুপ্রিম কোর্ট-এরও সেই এক-ই বক্তব্য। জুনিয়র চিকিৎসকদের অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যোগ দেওয়া উচিত।’ জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে দলের তরফে কুণালের প্রশ্ন, ‘গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই, মাথার উপর রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আপনারা এবার কর্মবিরতি তুলুন। আদৌ কি এটা যথাযথ হচ্ছে? প্রধান বিচারপতি কাজে যোগ দিতে বলেছিলেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য খোলা মনে আলোচনার কথা বলেছেন। কিন্তু আপনারা আগে থেকে শর্ত চাপিয়ে আলোচনার রাস্তা বন্ধ করতে চাইছেন। আপনারা কি চাইছেন? সমস্যা থাকুক না সমস্যা মিটুক?’

আরজি করে চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছে গোটা কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতবর্ষের বেশিরভাগ মানুষ। দিকে দিকে রব উঠেছে, ‘উৎসবে ফিরতে চাই না’। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ন্যায় বিচার আমরা সবাই চাই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। এবার আওয়াজ উঠেছে পুজো করবেন না বলে। মাথায় রাখবেন, উৎসব মানে খালি নাচানাচি নয়। গরিব মানুষের হাতে রোজগার তুলে দেওয়াটাও উৎসব। তাই জাস্টিসের পাশাপাশি পুজো-ও চাই। রাজনীতি জড়িয়ে দরিদ্রের রোজগার বন্ধ করা যাবে না৷ তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না ৷ সবার সব চলবে আর পুজো ছোটো হবে? সেটা হবে না ৷ শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। অনেকে বলছেন, পুজো ছোট করে হোক। তাঁরাই আবার তাঁদের সিনেমা-নাটকের প্রচারের কথা বলছেন। প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন আর সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন।’

এদিকে বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ও হাসপাতালেও পৌঁছে যায় সিবিআই। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ রেইড হচ্ছে, ভালো তো। কেউ দোষ করে থাকলে তদন্ত হোক৷ অভিযোগের ভিত্তি থাকলে আইন আইনের পথে ব্যবস্থা নেবে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে নির্দিষ্ট কিছু তো এখনও পাওয়া যায়নি৷ তবে এই ব্যাপারটা ডাক্তার ও তার আইনজীবীরা বলতে পারবেন। নাকের বদলে নরুণ যেন না হয়।’