থ্রেট কালচার বন্ধ করতে পদক্ষেপ নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে থ্রেট কালচারের অভিযোগে বহিষ্কার করা হল টিএমসিপির ইউনিটের অভিযুক্ত ছাত্রদের। হাউজস্টাফ টিএমসিপি নেতা শাহিন সরকার সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইন্টার্নশিপ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সোহম মণ্ডলকে।

থ্রেট কালচার বন্ধ করতে পদক্ষেপ নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১০ই সেপ্টেম্বর : উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে (North Bengal Medical College)থ্রেট কালচারের (threat culture)অভিযোগে বহিষ্কার করা হল টিএমসিপির ইউনিটের অভিযুক্ত ছাত্রদের। হাউজস্টাফ টিএমসিপি নেতা শাহিন সরকার সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইন্টার্নশিপ(internship)থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সোহম মণ্ডলকে। নম্বর বাড়ানোয় অভিযুক্ত ইন্টার্ন সোহমের খাতা পুনর্মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নম্বর বাড়ানোর ক্ষেত্রে অধ্যক্ষের নাম জড়ানোয় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। অন্যদিকে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি থেকে সরানো হয়েছে প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তকে। পাশাপাশি সন্দীপ সেনগুপ্ত, আরএমও নীলাভ্র ঘোষ, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীলকে ছুটিতে যাওয়ার অনুরোধ করেছে মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল। তাঁদের বিরুদ্ধে একপেশে আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁদেরকে আমরা ডিসকলেজিয়েট করব। যে ইন্টার্নদের নাম এসেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা হাউজস্টাফ, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, হাউজস্টাফশিপ টারমিনেট করে দেবে। আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে বলব, যাতে ওদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর আদৌ দেওয়া উচিত কিনা, সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা করতে।’

এদিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ‘যাঁরা মূল অভিযুক্ত, যাঁদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তাঁদের কয়েকজন ধরা পড়েছে। যাঁরা আবার সেই জিনিস চালু করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের যেন বহিষ্কার করা হয়। নাহলে ফের এই পরিস্থিতি তৈরি হবে।’

প্রসঙ্গত, তিলোত্তমা পর্বের পর থেকে আরজি কর হাসপাতালের একাধিক দুর্নীতি সামনে আসে। উঠে আসে উত্তরবঙ্গ লবির কথা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার-সহ দুর্নীতি করে পরীক্ষার নম্বর বাড়ানো, র‌্যাগিং একাধিক অভিযোগ ওঠে। সরকারি আধিকারিক, হাউজ স্টাফ-সহ একাধিক পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে হুমকি, নম্বরে কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। টানা বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত হয়। এবার অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হল।