৩ দিনের ডেডলাইন বেঁধে দিল রাজ্য সরকারকে! ফের ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তারেরা
শুক্রবার সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে পর দেবাশিস হালদার জানায় যে, ধর্মঘটের আওতায় রয়েছে প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল। এবং রাজ্য সরকারকে ডাক্তাররা ডেডলাইনে বেঁধে দিলেন।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১৯ই অক্টোবর: শুক্রবার সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে পর দেবাশিস হালদার জানায় যে, ধর্মঘটের আওতায় রয়েছে প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল। এবং রাজ্য সরকারকে ডাক্তাররা ডেডলাইনে বেঁধে দিলেন। তারা এও জানায় আগামী সোমবারের মধ্যে যদি তাদের দাবি না মানা হয় তাহলে মঙ্গলবারে ধর্মঘটে ডাক দেবেন আন্দোলনকারীরা।
বিচারের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক করতে মেডিকেলের সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠকে বসেন শুক্রবার। বৈঠকের পর দেবাশিস জানান, সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত শনিবার দিন আন্দোলন করা হবে। জুনিয়র ডাক্তারের রবিবার ধর্মতলা মঞ্চে মহাসমাবেশেরও ডাক দিয়েছেন। সমাবেশে নাগরিক সমাজের প্রত্যেকে এবং সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তারাও যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রত্যেকেই সোমবার রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে শামিল হবেন। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনার বসতে হবে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের যাওয়া এই দশটি দাবি মানতে হবে।সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর অন্যতা হলে মঙ্গলবার সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রত্যেক জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা শামিল হবেন। ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিষেবাও থেমে পড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এদিন কারও প্রাণহানি হলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে বলেই দাবি আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার পর থেকে সুবিচার, নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ জন জুনিয়র চিকিৎসক। তাঁদের সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত বহু রোগী বিপাকে পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।