সাড়ে তিন বছরের শিশুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ! অভিভাবকদের জেরে উত্তপ্ত নয়ডার কেমব্রিজ স্কুল

নয়ডার একটি নামী স্কুলে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। শনিবার শিশুদের অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে এলে তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তারা বিদ্যালয়ের গেটের সামনে হট্টগোল সৃষ্টি করে। অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিচ্ছে।

সাড়ে তিন বছরের শিশুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ! অভিভাবকদের জেরে উত্তপ্ত নয়ডার কেমব্রিজ স্কুল

আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 19 অক্টোবর: উত্তরপ্রদেশের নয়ডার একটি নামী স্কুলে নিরীহ মেয়েকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। শনিবার, শত শত অভিভাবক সেক্টর-20 থানার অধীন সেক্টর-27-এ অবস্থিত কেমব্রিজ স্কুলের(camebridge school) গেটের কাছে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা অভিভাবকদের স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন মনোভাবের কারণে স্কুলের(school) বাইরে তোলপাড় শুরু করে অভিভাবকরা। স্কুল চত্বরে সাড়ে তিন বছরের(3 years)এক ছাত্রীকে ধর্ষণের(molished)ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের(child)নিরাপত্তার বিষয়ে উত্তর চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আসেন।

স্কুল ম্যানেজারের স্বেচ্ছাচারিতা দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিশুদের অভিভাবকরা স্কুলের গেটেই বিক্ষোভ শুরু করেন। স্কুল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে আসা অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, স্কুল ম্যানেজার ডাকযোগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও স্কুলের ম্যানেজারের নির্দেশে স্কুলের নিরাপত্তাকর্মীরা আমাদের ভেতরে দেখা করতে দিচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর বিদ্যালয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত অভিভাবকরা। এই প্রসঙ্গে একজন অভিভাবক বলেন যে, 'জুনিয়র শাখায় শিশুদের ক্লাস দেখাশোনার জন্য মহিলা কর্মী থাকা উচিত। তাদের অভিযোগ, আমরা স্কুল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে চাই, কিন্তু স্কুল ব্যবস্থাপনা তাদের অপরাধ স্বীকার করছে না এবং আমাদের সঙ্গে দেখাও করছে না। আমাদের শিশুরা এখানে নিরাপদ নয়।'

অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে অন্য অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল ম্যানেজারকে তার ভুল মেনে নিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়ে অভিভাবকদের ডেকে আলোচনা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ভুল আর না হয় সেজন্য নিয়ম-কানুন তৈরি করতে হবে। এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, 'আমরা শান্তিতে বসে কথা বলতে চাই। আমরা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি, কিন্তু স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের লোকজন পালিয়ে গেছে। স্কুল প্রশাসন তাদের ভুল স্বীকার করছে না এবং শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে দেখা করতে চাইছে না।' 

অপরদিকে, একজন অভিভাবক জানিয়েছেন যে, 'কয়েকদিন আগে একটি সাড়ে তিন বছরের নিষ্পাপ মেয়েকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল। স্কুল চত্বরে বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না। স্কুলের অধ্যক্ষের সাইট থেকে একটি ই-মেইল এসেছে যে একজন ছাত্র যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। পুরো বিষয়টি মেইলে বলা হয়নি। ঘটনার কয়েকদিন পর একটি স্কুল গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।'