শ্বাসনালীতে মিলেছে কার্বন! কী রয়েছে কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে?
কৃষ্ণনগরে যে ঘটনাটি ঘটেছে তে করে সারা রাজ্য তোলপাড় হয়ে চলেছে। মেয়েটির রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, তার শরীরে কোন ধর্ষণের দাগ মেলেনি এবং কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আগুনলাগা সবাই মেয়েটির শরীর জীবিত ছিল।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২১ অক্টোবর: কৃষ্ণনগরে যে ঘটনাটি ঘটেছে তে করে সারা রাজ্য তোলপাড় হয়ে চলেছে। মেয়েটির রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, তার শরীরে কোন ধর্ষণের দাগ মেলেনি এবং কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আগুনলাগা সবাই মেয়েটির শরীর জীবিত ছিল। ময়না তদন্তে রিপোর্টে এমনটাই চাঞ্চল্য তথ্য উঠে আসে। আর রিপোর্টে বলেছে, মেয়েটির শাসনালীতে কার্বন পাওয়া গেছে।
রাজ্য ও রাজনীতিতে বিগত কয়েকদিন ধরে কৃষ্ণনগরের ঘটনাকে নিয়ে উত্তাল চলছে। কিভাবে মৃত্যু হল মেয়েটির? ধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন?নাকি আত্মহত্যা? এইসব বিষয়ে গুলি সবার মনে দানা বেঁধেছিল। তদন্তকারীরা এখন ময়নাগাদিন রিপোর্টে অপেক্ষায় রয়েছে। রিপোর্টে মেয়েটির গা থেকে নাকি কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ছাত্রীটি ধর্ষণও হয়েছে কিনা এমনটাও জানা যাচ্ছে না। মেয়েটির গায়ে আগুন লাগার সময় জীবিত ছিল এবং তার দেহের ৮০ শতাংশ শরীরের প্রায় পুড়েই গিয়েছিল।। তবে কি অন্য কেউ তার গায়ে আগুন লাগিয়েছে নাকি সে নিজে দিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পরীক্ষার পর বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার, ১৬ অক্টোবর সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনায় নিহতের পরিজনেরা। এই পরিস্থিতিতে হাতে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। যা বলছে, ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি।