বর্ধমান পুলিশের জালে ট্যাব 'দুর্নীতিরা! পুলিশ গ্রেপ্তার করেন ৪ জনকে

মালদায় অনেকদিন ধরেই এই ট্যাব 'দুর্নীতিদের ধরার পরিকল্পনা চলছে না। সোমবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় মালদা থেকে। এবং তাদের মধ্যে একজন পেশায় স্কুলের শিক্ষক, এবং তিনি কম্পিউটার পড়াতেন।

বর্ধমান পুলিশের জালে ট্যাব 'দুর্নীতিরা! পুলিশ গ্রেপ্তার করেন ৪ জনকে

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৩ নভেম্বর: মালদায় অনেকদিন ধরেই এই ট্যাব 'দুর্নীতিদের ধরার পরিকল্পনা চলছে না। সোমবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় মালদা থেকে। এবং তাদের মধ্যে একজন পেশায় স্কুলের শিক্ষক, এবং তিনি কম্পিউটার পড়াতেন। পুলিশ যেড়া করলে তাদের এই চক্রের সঙ্গীদের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অনেকদিন ধরে এই ট্যাব দুষ্কৃতীদের ধরার তদন্তে নামেন। শেষ পর্যন্ত সোমবার মালদা থেকে হাসেম আলি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে জেরা করায় তাদের সঙ্গী পিন্টু শেখ, জামাল শেখ, শ্রবণ সরকার এবং রকি শেখ নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ভবানীপুর কেবিএস স্কুলের কম্পিউটারের শিক্ষক ছিলেন। তার নাম রকি শেখ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক স্কুলের অ্যাকাউন্টে লগ-ইন ক্রেডেনশিয়াল সরবরাহ করার অভিযোগও রয়েছে। অর্থাৎ অর্থ তছরুপে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রকিকে।

উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। অভিযোগ ওঠে, বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে সিএমএস হাই স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়ার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্যত্র চলে গিয়েছে। এই বিষয়ে স্কুলের তরফে বর্ধমান সাইবার থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু হয়। সেখানে দেখা যায় স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে ভিন রাজ্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার শাখার পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়। এর পর অন্যান্য জেলা থেকেও এক অভিযোগ ওঠে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নজরে পড়ে বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেন। এর পরই রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে নতুন করে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে।