পুরীতে অমঙ্গলের আশঙ্কা! ১২০০ বছরের পুরনো মন্দিরের পাঁচিলে বড় ফাটল

দিনকয়েক আগে মন্দিরের পাঁচিলে ফাটল দেখতে পান মন্দির কর্তৃপক্ষ। তার পরেই মন্দিরের কাঠামো নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে।

পুরীতে অমঙ্গলের আশঙ্কা! ১২০০ বছরের পুরনো  মন্দিরের পাঁচিলে বড় ফাটল

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৪ নভেম্বর: পুরী জগন্নাথের মন্দির বেশি আমরা সবাই দেখেছি। ওই মন্দির প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো। আর জান্নাতের সেই মন্দিরে বিশাল এক ফাটল লক্ষ্য করা গেল। মন্দিরের একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এখন সবাই আশঙ্কায় রয়েছে যে, তবে কি বিরাট ক্ষতি হয়েছে মন্দিরের? মন্দির কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এই ফাটল ঠিক করার জন্য ওড়িশা সরকার জানিয়েছে। তারা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে মেরামতের জন্য সাহায্য চেয়েছে। 

ওই পাঁচিলের বাইরেই রয়েছে আনন্দবাজার। আর এই জগন্নাথ মন্দির প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো। সেই মন্দিরকে ঘিরেই রয়েছে এক বিরাট পাঁচিল। জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ সেখানে পাওয়া যায়। মন্দিরের পাঁচিলে ওই আনন্দবাজার থেকে বজ্র জল এসে পড়েছে। এবং দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকায় পাঁচিলের শেওলাও জমেছিল। আর ফাটল ধরেছিল। মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় শ্যাওলার আস্তরণ দেখা গিয়েছে। সবমিলিয়ে পাঁচিল ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে।

দিনকয়েক আগে মন্দিরের পাঁচিলে ফাটল দেখতে পান মন্দির কর্তৃপক্ষ। তার পরেই মন্দিরের কাঠামো নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেঘানন্দ পাচেরি দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে রেখেছে। নিরাপদে রেখেছে গোটা মন্দির চত্বরকে। কিন্তু দেওয়ালের গায়ে বর্জ্য জল এসে পড়ছে সেটা কেউ খেয়াল করেনি। জল চুঁইয়ে পড়া এবং শ্যাওলা গজিয়ে ওঠার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মন্দিরের দেওয়ালের। পাঁচিল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে প্রশ্ন উঠবে মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়েও।

ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানান, কেন চিড় ধরছে সেই কারণটা আগে খুঁজে বের করা দরকার। সেই বিষয়টাই খতিয়ে দেখছে এএসআই। ফাটল সারানোর কাজও শুরু করা হয়েছে। তবে মন্দিরের দেওয়ালের লাগোয়া এলাকায় নিয়ম বহির্ভূত কোনও কাজ হয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।