স্বামীকে কুপিয়ে 'খুন'! কেনই বা খুন হতে করল?এই ঘটনা ঘিরে এমনই নানা প্রশ্নের ভিড়
ভাঙ্গরের চন্দনেশ্বরে এক দম্পতির দেহ উদ্ধার করা হয়। স্বামীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। আর স্ত্রী এর অর্ধনগ্ন দেহ কিছুটা দূর থেকে উদ্ধার করা হয়। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৭ অক্টোবর: ভাঙ্গরের চন্দনেশ্বরে এক দম্পতির দেহ উদ্ধার করা হয়। স্বামীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। আর স্ত্রী এর অর্ধনগ্ন দেহ কিছুটা দূর থেকে উদ্ধার করা হয়। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটালো, কি কারনে তাদের খুন করল, এগুলি কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে সবার মনে। এ বিষয়টিকে নিয়ে চন্দনেশ্বর থানার পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকায় থাকত। স্বামী পেশায় একজন সবজি ব্যবসায়ী ছিল। তাদের দোতলা বাড়ি ছিল। শনিবার দিন রাতে তারা খাবার খেয়ে একসাথে ঘুমান। এবং মহিলাটি রাত্রেবেলা তার বাপে দোকানে লোকের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিল। তারপর রবিবার দিন সকালবেলা ছেলে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার বাবা মা ঘুমাচ্ছে। বেলা যেত বাড়তে থাকে ছেলে দেখছে তাঁদের কোনরকম সাড়াশব্দ নেই। তাতে করে সন্দেহ বাড়ে। বাবা-মাকে ডাকতে গিয়ে ছেলের দেখে ভিতরের ছিটকানি ভাঙা।
দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান মৃতের ছেলে। তিনি দেখেন, ঘরে পড়ে রয়েছে বাবার দেহ। গোটা শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। মা পড়ে রয়েছেন বিছানায়। নিথর দেহটি বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই দৃশ্যে কার্যত আঁতকে ওঠেন ছেলে। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁর আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দনেশ্বর থানার পুলিশ। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাইরে থেকে কেউ ঘরে ঢুকে কেউ হয়তো খুন করেছে দম্পতিকে। এই ঘটনার নেপথ্য কারণও স্পষ্ট নয়। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।