নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর মিলল দেহ! লিফটের নিচ থেকে উদ্ধার আধিকারিকের দেহ ভ

রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক দেহ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা নিখোঁজের পর সেই দেহর প্রতিষ্ঠ পাওয়া গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দেহ কি ছিল ডিএসপির আধিকারিকের।

নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর মিলল দেহ! লিফটের নিচ থেকে উদ্ধার আধিকারিকের দেহ ভ

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৭ অক্টোবর: রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক দেহ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা নিখোঁজের পর সেই দেহর প্রতিষ্ঠ পাওয়া গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দেহ কি ছিল ডিএসপির আধিকারিকের। আরএম এইচপি বিভাগের জিএমতে সমিত ভট্টাচার্যের নিথর দেহ পাওয়া গেছে। তিনি শনিবার নাইট শিফটে ছিলেন, সেই সময় জংশন ২৫ বাংকারের লিফটের নিচ থেকে রাত ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ তার দেহ উদ্ধার হয় কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে। রুটিন পরিদর্শন করতে গিয়ে এক আধিকারিকের চোখে পড়ে দেহটি।

ওই অধিকারী দেহটিকে দেখামাত্র পুলিশের খবর দেয়। এবং ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এসে দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। তবে কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটল তা নিয়ে সিআইএসএফ, ডিএসপিও পুলিশ নিজেদের মতন তদন্ত করা শুরু করেছে। বৃষ্টির নিচে কি করে দেহটি গেল তা নিয়েও রয়েছে রহস্য। এদিকে, পুলিশ দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ডিআইসি (ডিরেক্টর ইন চার্জ) বি পি সিং-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সমিত ভট্টাচার্য নামে ওই আধিকারিক কারখানার মেটেরিয়াল হ্যান্ডেলিং প্ল্যান্ট (RMHP) বিভাগে জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) পদে কর্মরত ছিলেন।

স্ত্রীর সঙ্গে নিহত দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট আধিকারিক শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ প্রতিদিনের মতো তিনি কারখানায় কাজে যোগ দেন। কিন্তু কারখানায় ঢোকার পর থেকেই তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে. সমিতবাবুর গাড়ি থেকে শুরু করে ব্যাগপত্র, খাবারদাবার সবই কারখানায় রয়ে গিয়েছে। সমিতবাবুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁর সহকর্মীরা। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোনটি ক্রমাগত বেজে গেলেও সেটি কেউ ধরছেন না। ঘটনার খবর চাউড় হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শ্রমিক মহলে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে মিসিং ডায়েরি করা হয়। পুলিশ কুকুর এনে সমিতবাবুর জিনিসপত্র শুঁকিয়ে তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। সমিত ভট্টাচার্য সিটি সেন্টারের সেইল কো-অপারেটিভের বাঘাযতীন পথের বাসিন্দা। স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় সমিতবাবুর পরিবার-সহ কারখানার শ্রমিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।