হাতকড়া পরিয়ে আইসিইউতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে অভিযুক্তকে, সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারের মুখে হরিয়ানা সরকার

এবার সুপ্রিম কোর্টের ক্ষোভের মুখে হরিয়ানা সরকার। কিন্তু কেন? জানুন এই প্রতিবেদনে। একটি প্রতারণার মামলায় আইসিইউতে ভর্তির সময় অভিযুক্তকে হাতকড়া পরিয়ে বিছানায় বেঁধে রাখার ঘটনাকে সুপ্রিম কোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।

হাতকড়া পরিয়ে আইসিইউতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে অভিযুক্তকে, সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারের মুখে হরিয়ানা সরকার

আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 23 অক্টোবর: এবার সুপ্রিম কোর্টের(supreme court) ক্ষোভের মুখে হরিয়ানা(Haryana) সরকার। কিন্তু কেন? জানুন এই প্রতিবেদনে। একটি প্রতারণার মামলায় আইসিইউতে ভর্তির সময় অভিযুক্তকে(accused) হাতকড়া পরিয়ে বিছানায় বেঁধে রাখার ঘটনাকে সুপ্রিম কোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বের(important)সঙ্গে নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এর নিয়ম অনুযায়ী, 'এটা জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের চরম লঙ্ঘন।' এর জন্য হরিয়ানা সরকারকে কড়া তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে হরিয়ানা সরকারের পক্ষে উপস্থিত অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলের(advocate general)কাছে জবাব চেয়েছে। আদালতে দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়, 'তিনি যখন আইসিইউতে ছিলেন, তখন তাঁর হাতে হাতকড়া ছিল।'

বিচারপতি এএস ওকার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে অভিযুক্ত ভিহান কুমারের পক্ষ থেকে তার গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদন করা হয়েছিল। এই মামলায় পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন আবেদনকারী। গ্রেপ্তারি চ্যালেঞ্জ করা আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। আবেদনকারী তার আবেদনে দাবি করেছেন যে, যখন তাকে রোহতকের পিজিআইএমএস-এ ভর্তি করা হয়েছিল, তখন তাকে শিকল দিয়ে আইসিইউ বেডে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এই সময় তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়। মামলার শুনানি চলাকালীন গত ৪ অক্টোবর হাসপাতালের মেডিকেল সুপারকে হলফনামা দাখিল করে মামলার তথ্য দিতে নির্দেশ দেন আদালত। 19 অক্টোবর, PGIMS রোহতকের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট দ্বারা একটি হলফনামা পেশ করা হয়।

'হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের উচিত অভিযুক্তের স্বাস্থ্যের রিপোর্ট পেশ করা'

সুপ্রিম কোর্ট হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টকে অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করতে বলেছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, অভিযুক্তকে সফদরজং হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের দ্বারা পরীক্ষা করা হবে এবং তার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই মামলার রিপোর্ট চেয়েছে এবং পরবর্তী শুনানির জন্য শুক্রবার দিন ধার্য করেছে। আদালত জানতে চেয়েছে, কোন কর্মকর্তারা এর জন্য দায়ী ছিলেন।