মোদির শপথে অমৃতা, হার নিয়ে বিস্ফোরক রানিমা

নিজের হার নিয়ে তিনি নাম না করে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব যারা লোকসভা নির্বাচনে দায়িত্ব ছিলেন তাঁদের দোষারোপ করছেন।

মোদির শপথে অমৃতা, হার নিয়ে বিস্ফোরক রানিমা

জেলা সংবাদদাতা, নদিয়া:
হেরে গেলেও মোদির শপথ অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন বিজেপি প্রার্থী হয়ে লড়াই করা রানিমা অমৃতা রায়। এদিকে  নিজের হার নিয়ে তিনি নাম না করে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব যারা লোকসভা নির্বাচনে দায়িত্ব ছিলেন তাঁদের দোষারোপ করছেন। শুক্রবার রাতে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে উঠে আসে বেসুরো নানান কথা। তবে বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নাম না করলেও জেলা নেতৃত্বের অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে বারংবার, শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র অন্য আর পাঁচটা কেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি টাকা এসেছিল এবং সুযোগ সুবিধা এসেছিল, সেসব থেকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এমনকি তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সেই সংক্রান্ত নানান কাগজপত্রও আটকে রাখার মতন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছিল।  


এবারে নিচু তলার কর্মী-সমর্থকরা রানিমার দাবিকে মান্যতা দিয়ে সরাসরি জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশ্রয় দাতা হিসাবে রাজ্যের ওজিএস অমিতাভ চক্রবর্তীরও পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। শুধু বিক্ষোভ নয়, রীতিমতন বিজেপির পতাকা ফ্লেক্স নিয়ে তাঁরা মিছিল করেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, পুরনো বিজেপি কর্মীরা, যাঁরা বিভিন্ন কারণে মান-অভিমানে বসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করেননি জেলা সভাপতি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রীতিমতন কথা হওয়া প্রার্থীর জন্য এই কেন্দ্রে এসেছিল প্রচুর টাকা, যা দিয়ে প্রচার এবং অন্যান্য খরচ করা যেত। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম দেওয়াল লেখার পর্যন্ত অর্থ অনেক জায়গায় পৌঁছায়নি।

 তাঁরা সরাসরি অভিযোগ করে বলেন তৃণমূলের কাছ থেকে পর্যন্ত একটা মোটা অংকের টাকা নিয়ে ইচ্ছা করে জেতা সিট হারিয়ে দিয়েছে জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস এবং এর নেপথ্য মদত দাতা হিসাবে রয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব ওজিএস অমিতাভ চক্রবর্তী। তাই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের বহিষ্কার না করলে আগামীতে জেলায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে এবং লাগাতার আন্দোলন চলবে। বিজেপি কর্মীরা জানিয়েছেন, ‘প্রয়োজনে এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব।’ বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিজেপি জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে তিনিও রিপোর্ট পাঠিয়েছেন দলের কাছে। দল সমস্ত খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।