পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর দেহ! আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে বেজায় চাঞ্চল্য

পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবতীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত টেকাটুলি'র ঘোষপাড়া এলাকায়। জানা যায়, মৃত যুবতীর নাম অঙ্কিতা ঘোষ (২৫)। এদিকে এই ঘটনার পর মৃত যুবতীর পিসি তিস্তা নদীতে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়দের চেষ্টায় পিসিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে সেই পিসি সাধনা ঘোষ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর দেহ! আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে বেজায় চাঞ্চল্য

পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবতীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত টেকাটুলি'র ঘোষপাড়া এলাকায়। জানা যায়, মৃত যুবতীর নাম অঙ্কিতা ঘোষ (২৫)। এদিকে এই ঘটনার পর মৃত যুবতীর পিসি তিস্তা নদীতে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়দের চেষ্টায় পিসিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে সেই পিসি সাধনা ঘোষ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে, পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মর্গে পাঠিয়েছেন। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত যুবতী অঙ্কিতা ঘোষ তার পিসি সাধনা ঘোষের বাড়িতেই থাকতেন। বিগত কয়েকমাস আগে পিসেমশাই কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আর্থিক সংকটে সময় কাটাতে থাকেন। এদিকে অঙ্কিতা সহ পিসি সপ্তাহ খানেক আগে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু সোমবার রাতে সকলে প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমাতে চলে যায়। এক ঘরেই ঘুমাতেন পিসিমা এবং অঙ্কিতা। মঙ্গলবার সাত সকালে কাঁধে একটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় পিসিমা। দেখে ফেলেন অঙ্কিতার সৎ মা মনিকা ঘোষ। সেই সময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান কোনো কাজে ময়নাগুড়ি যাচ্ছেন।

পরক্ষণে মা তার বড়ো মেয়েকে ডাকতে গেলে দেখেন মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অঙ্কিতা। পায়ে একটি গামছা বাঁধা  ছিল বলে দাবি। এরপর তার বাবা অরবিন্দ ঘোষকে ডাকলে ঘটনা চাউর হয়ে যায়। ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত যুবতীর কাকাতো দাদা নারায়ণ ঘোষ বলেন, "পরিবারের চিৎকারের আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসে দেখি আমার কাকাতো বোন মেঝেতে পড়ে রয়েছে। একটা পা বাঁধা এবং মুখটা বাঁকা হয়ে রয়েছে। আমাদের সন্দেহ এটা মাডার হয়েছে। রাতে অঙ্কিতার সঙ্গে তার পিসি ছিলেন।

প্রতিবেশী এক যুবক গনেশ রায় বৈশ্য এই প্রসঙ্গে বলেন, চিৎকার শুনে এসে দেখি অঙ্কিতার পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে রয়েছে।" এরপর খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। অন্যদিকে, এই ঘটনার মাঝেই অঙ্কিতার পিসিমা সাধনা ঘোষ তিস্তা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। আর এই ঘটনা নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।