কিঞ্জল নন্দের তিলোত্তমার বিচার চেয়ে ভাইফোঁটায় বড় সিদ্ধান্ত!
প্রত্যেকটা বাঙালি ঘরে ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা কথাটি বলে প্রত্যেকটি দিদি-বোনেরা তার ভাইদের জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করে। আর তেমনি ভাই-দাদারা তার বোন-দিদিদের রক্ষা করার অঙ্গীকার করেন। তবে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি, বলে এবার ভাইফোঁটা দিচ্ছেন না আর জি কর অন্যতম আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয় কর্মকার,৪ নভেম্বর: প্রত্যেকটা বাঙালি ঘরে ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা কথাটি বলে প্রত্যেকটি দিদি-বোনেরা তার ভাইদের জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করে। আর তেমনি ভাই-দাদারা তার বোন-দিদিদের রক্ষা করার অঙ্গীকার করেন। তবে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি, বলে এবার ভাইফোঁটা দিচ্ছেন না আর জি কর অন্যতম আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ। এবং তিনি নিজে থেকেই তো সোশ্যাল মিডিয়াতে এই কথা জানান। সোশাল মিডিয়ায় সেকথা জানিয়েছেন খোদ কিঞ্জলই। জানিয়েছেন, তিলোত্তমার সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত ভাইফোঁটা নেবেন না।
কিঞ্জল তার ফেসবুক পেজে লেখেন, 'ভাই হিসেবে আগলে রাখতে পারিনি, বাঁচাতে পারিনি। যতদিন বিচার না পাব, ভাইফোঁটা নেব না, রাখীও পরব না। সেই যোগ্যতা হারিয়েছি।' এবং রীতিমতো তার এই পোস্ট নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়। অনেক নেটিজেনরা এও বলেন, 'ভেবেছিলাম গণকনভেনশনের মতো আজ একটা গণভাইফোঁটা অনুষ্ঠান হবে।তোরা ভাই সাবধানে থাকিস।'কেউ লিখেছেন, 'আমি বলবো,আরো রাখী পড়,আরো ফোঁটা নে। একটা বাহিনী বানা বোনেদের নিয়ে। তারাই পারবে তোর লড়াইকে সফল করতে। লড়াই করতেই ত যৌথ অবস্থানের দরকার। আর সেইটাই ত আল্টিমেট শক্তি।'
প্রসঙ্গত, ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। লাগাতার আন্দোলন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কর্মবিরতি, ধরনা, অনশন, কিছুই বাদ যায়নি। সেই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন কিঞ্জল নন্দ। আপাতত সামনে পরীক্ষা। পড়াশোনায় ব্যস্ত আন্দোলনকারীরা। এর মাঝেই ভাইফোঁটার দিন বার্তা দিলেন কিঞ্জল। জানালেন, অভয়া সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি আর ফোঁটা নেবেন না। রাখীও পরবেন না।