'সাসপেন্ডেড' ৫১ জনকে নিয়ে বাড়ছে জটিলতা! CBI এর নজরে আর জি কর
আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনায় সারা দেশ উত্তাল হয়ে রয়েছে। সিবিআই আরজি কর তদন্তে অনেক বেশি তৎপর হয়ে রয়েছে।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৪ অক্টোবর:আর জি করের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় সারা দেশ উত্তাল হয়ে রয়েছে। সিবিআই আরজি কর তদন্তে অনেক বেশি তৎপর হয়ে রয়েছে। ট্রমা কেয়ারের প্রাক্তন ইনচার্জ সুজাতা ঘোষ, বর্তমান নোডাল অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যেই একান্ন জন 'সাসপেন্ডেড' রয়েছে তাদেরকে নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জটিলতা। এদের মধ্যে যে দশজন আছে তাদের পাশ করা নিয়ে যথেষ্ট দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআইয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধির দল নিয়ে তিনটে নাগাদ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে অভিষেক পাণ্ডে। কোন রোগীকে তারা কিভাবে দেখে, বায়োমেট্রিক না থাকার সত্বেও কিভাবে পিজিটি হল, প্রেসক্রিপশন না লিখে, এই সমস্ত ব্যাপার নিয়ে ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। তারা এটা আন্দাজ করছে যে, সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হওয়ার ফলে অভিষেক বেনিয়মে এই কাজগুলো চালাত। তার সাথে রেসিডেন্স চিকিৎসক সৌরভ পালের কার্যকলাপও সিবিআইয়ের নজরে আছে।
উল্লেখ্য, অভয়ার মৃত্যুর রেশ ধরেই উঠে আসে আর জি করে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ। পরবর্তীতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ওঠে সেই প্রসঙ্গ। আলোচনা চলাকালীন আর জি করের অধ্যক্ষ ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “প্রশাসনকে না জানিয়ে কেন সাসপেন্ড করলেন। কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? এটা থ্রেট কালচার নয়? আমাদের জানালেন না কেন? স্বাস্থ্যবিভাগকে জানালেন না কেন? সরকার বলে একটা পদার্থ আছে।” বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-ডাক্তারি ছাত্রদের মধ্যে বাদানুবাদ তৈরি হয়। তার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই মঙ্গলবার ‘থ্রেট কালচারে’ ৫৩ জন চিকিৎসককে সাসপেনশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। সাফ জানানো হয়, আপাতত সাসপেনশনের নির্দেশ কার্যকরী নয়। ওই চিকিৎসকরাই এখন সিবিআই স্ক্যানারে।