পূর্ব ভারতে বিশাল বিনিয়োগ! নতুন কারখানা তৈরী করছে JK সিমেন্ট
জেকে গ্রুপের (JK group) কোম্পানি জেকে সিমেন্ট (JK Cement) বিহারে(bihar) একটি সিমেন্ট কারখানা স্থাপন করতে চলেছে৷ বক্সারের আশেপাশেই হবে এই কারখানা। ওই কারখানায় ধূসর সিমেন্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। বক্সার প্ল্যান্টের বার্ষিক ধারণক্ষমতা হবে 30 লাখ টন। এই কারখানা স্থাপনের জন্য প্রায় 80 একর জমি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেখান থেকে উৎপাদন শুরু হবে।
আজ এখন ডেস্ক, 24 অক্টোবর: জেকে গ্রুপের (JK group) কোম্পানি জেকে সিমেন্ট (JK Cement) বিহারে(bihar) একটি সিমেন্ট কারখানা স্থাপন করতে চলেছে৷ বক্সারের আশেপাশেই হবে এই কারখানা। ওই কারখানায় ধূসর সিমেন্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। বক্সার প্ল্যান্টের বার্ষিক ধারণক্ষমতা হবে 30 লাখ টন। এই কারখানা স্থাপনের জন্য প্রায় 80 একর জমি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেখান থেকে উৎপাদন শুরু হবে।
JK সিমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাঘবপত সিংহানিয়া এনবিটি-র সঙ্গে আলোচনার সময় এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে, বক্সারের কাছে যে সিমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা আসলে একটি সিমেন্ট গ্রাইন্ডিং ইউনিট হবে। এর জন্য মধ্যপ্রদেশের পান্না প্লান্ট থেকে ক্লিংকার আনা হবে। তিনি বলেন, বক্সার সিমেন্ট প্ল্যান্টে প্রায় 550 কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।
বর্তমানে জেকে সিমেন্টের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় 24 মিলিয়ন টন। এটা বাড়িয়ে তিন কোটি টনে উন্নীত করতে হবে। এতে প্রায় 3000 কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এর মধ্যে বক্সার প্ল্যান্টে 550 কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। তিনি আরও জানান, উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে পান্না সিমেন্ট প্ল্যান্টে অতিরিক্ত লাইন বসানো হচ্ছে। সেখান থেকে বিহার প্ল্যান্টে ক্লিংকারও সরবরাহ করা হবে। উল্লেখ্য, গত এপ্রিলেই জেকে সিমেন্ট তার পান্না প্ল্যান্টে একটি নতুন উৎপাদন লাইন উদ্বোধন করেছে। পান্না প্ল্যান্টে নতুন উৎপাদন লাইন চালু হওয়ার সাথে সাথে, এর ক্লিঙ্কার উৎপাদন ক্ষমতা 3.3 MTPA থেকে বার্ষিক 6.6 মিলিয়ন মেট্রিক টন (MTPA) হয়েছে। এটি উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং মধ্য ভারতে সিমেন্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে JK সিমেন্টকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
উল্লেখ্য, জেকে সিমেন্টের শেয়ার দর আজ অনেক ওঠানামা করছে। গত বুধবার এটি 4765.20 টাকায় বন্ধ হয়েছিল। আজ সকালে এটি 4750 টাকায় খোলা হয়েছে, যা আগের ট্রেডিং দিনের তুলনায় কম ছিল। পরে তা 4745.10 টাকায় নেমে আসে। কিন্তু পরে আবার 4794.25 টাকায় উঠে যায়। প্রায় 12.30 টা নাগাদ এটি 4757 টাকায় লেনদেন হয়েছিল, যা আগের দিনের মূল্যের চেয়ে 8.20 টাকা কম।