সম্পর্কের টানাপোড়েনের চরম সিদ্ধান্ত! মৃত ডাক্তারের স্ত্রীকে পাঠানো মেসেজে রহস্য
ঝাড়খন্ডে এক ডাক্তারের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। তবে আরজিকরের ইস্যু নয়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ভাঙ্গন ধরছিল তার ফলেই এমন ঘটনা ঘটলো।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৮ নভেম্বর: ঝাড়খন্ডে এক ডাক্তারের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। তবে আরজিকরের ইস্যু নয়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ভাঙ্গন ধরছিল তার ফলেই এমন ঘটনা ঘটলো। কারণ, মারা যাওয়ার আগে তার স্ত্রীকে এমন কিছু মেসেজ পাঠিয়েছে। তিনি মেসেজে লিখেছেন, "এখনই তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়"। উল্লেখ করেছেন 'পুরোনো ঘা'-এর কথাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম দীপ্র ভট্টাচার্য। এবং তার মৃত্যুর আগে চিকিৎসকদের গ্রুপ থেকে কিছু মেসেজ তার স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন। এই তথ্যকে ঘিরে ছড়াচ্ছে রহস্য। লোকটি তার স্ত্রীকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তাদের দাম্পত্য জীবনে চিকিৎসক মোটেই সুখী ছিলেন না, পুরনো স্মৃতি কাটিয়ে ওঠার আগে বিয়ের ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু করেছেন। যার জেরেই তিনি প্রতিদিন মানসিক সমস্যারযার শিকার হয়েছিলেন। তার সঙ্গে তিনি পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বলেও মেসেজে উল্লেখ করেছেন। এখানেই শেষ নয়। আর জি করের ওই নরকীয় ঘটনারও প্রসঙ্গও ছিল সেই মেসেজে। লিখেছিলেন, "নোংরা পৃথিবী, অবিচার, নোংরামি দেখেও অন্ধসবাই। এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? কোন দুনিয়ায় আছি আমরা? জেগে থাকতে ইচ্ছে করে না, চারিদিকে শুধু অন্ধকার।” ফলত মনে করা হচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের কারণেই এই পরিণতি।
উল্লেখ্য, চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগে কর্মরত ছিলেন। একাই থাকতেন ঝাড়গ্রামের ঘোড়াধরা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে। স্ত্রী ও পরিবার অন্যত্র থাকতেন। বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ স্ত্রী দীপ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাতেই তাঁর সন্দেহ হয়। ছুটে আসেন ফ্ল্যাটে। ডাকাডাকি করেও কোনও লাভ হয়নি। দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় দীপ্রর দেহ। পাশে পড়েছিল একটি সুইসাইড নোট ও সিরিঞ্জ।