নিজের নাতনিকে ধর্ষণ! ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি
আবারও এক নাবালিকার ধর্ষণ। অভিযুক্ত সম্পর্কে নাবালিকার দাদু! ওই মেয়েটির উপর কয়েক দিন ধরে এই ধর্ষণ চালাত বৃদ্ধ, তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করে ধর্ষণ করা হয় এমনটাই অভিযোগ।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১১ নভেম্বর: আবারও এক নাবালিকার ধর্ষণ। অভিযুক্ত সম্পর্কে নাবালিকার দাদু! ওই মেয়েটির উপর কয়েক দিন ধরে এই ধর্ষণ চালাত বৃদ্ধ, তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করে ধর্ষণ করা হয় এমনটাই অভিযোগ। বনগাঁর চাঁদা এলাকায় এই ঘটনাকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে বাড়ির লোক এই বিষয় নিয়ে কখনোই টের পাননি। তবে দাদুর আচরণ ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছিল। ১৪ বছরের নাতনিকে অচৈতন্য করে তার ওপর শারীরিকভাবে লিপ্ত হতো। অনেকদিন ধরে এমন ঘটনা চলতে থাকে। ওই নাবালিকাকে হুমকি দেওয়া হতো, যদি এই ঘটনা কাউকে বলে দেয় তাহলে তাকে প্রাণে মেরে দেবে। সেই ভয়ে আশ্রিতা নাবালিকাটি চুপ করে থাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটি মায়ের মৃত্যুর পর বনগাঁর চাদা এলাকায় মায়ের মৃত্যুর পর দাদু শংকর বিশ্বাসের বাড়িতে থাকত দুই নাবালিকা। কিন্তু রক্ষকই যে এখানে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তারা। ধীরে ধীরে দাদুর আচরণ পালটাতে থাকে। অভিযোগ, বছর চোদ্দর নাতনিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করার পর শারীরিকভাবে লিপ্ত হতো দাদু। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, এসব কথা কাউকে বললে শংকর তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। আশ্রিতা নাবালিকাও ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।
গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই নাবালিকাটে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের সবাই তাকে নিয়ে চিন্তিত হলে মহিলা ডাক্তারকে সেই ঘটনার কথা জানান।কিন্তু রবিবার দুপুরে আচমকাই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা বনগাঁ থানায় শংকর বিশ্বাসের (দাদু) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বৃদ্ধকে পুলিশ তদন্তের জন্য গ্রেপ্তার করে। আর ওই নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিজের নাতনির উপর এমন অত্যাচারের ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে। মাতৃহারা নাতনিরা যে দাদুর বাড়িতে সুরক্ষিত নয়, তা নিয়েও কথা হচ্ছে।