ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে মমতার কাছে বড় দাবি! 'থ্রেট কালচার' ফিরে আসতে পারে, আশঙ্কিত জুনিয়ররা

প্রত্যেকটা কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে যে, ছাত্রসংবাদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী মনিটরিং কমিটি গড়তে হবে কলেজে। সেই কমিটির স্নাতকস্তরের সদস্যরাসেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ডাক্তারি পড়ুয়া বা সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে মমতার কাছে বড় দাবি! 'থ্রেট কালচার' ফিরে আসতে পারে, আশঙ্কিত জুনিয়ররা

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২২অক্টোবর: প্রত্যেকটা কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে যে, ছাত্রসংবাদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী মনিটরিং কমিটি গড়তে হবে কলেজে। সেই কমিটির স্নাতকস্তরের সদস্যরাসেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ডাক্তারি পড়ুয়া বা সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে। তবে ছাত্রসংঘের সদস্য মনোনীত করা হলে তাদেরকে থ্রেট কালচারে ফিরে আসতে হবে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে জুনিয়াররা। নবান্নের সভা ঘরে এদিন দেবাশীষ হালদার  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন।

জুনিয়ারা যে দল দফার দাবি করেছিল তার মধ্যে আটটি দফা মুখ্যমন্ত্রী রাজি হয়েছে। এবং তার মধ্যে অন্যতম ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। অনশন মঞ্চে শনিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, "পরের বার সব মেডিক্যাল কলেজে একেবারে ভোট হোক আমি চাই। সামনে কালীপুজো, ভাইফোঁটা আছে। তোমাদের পরীক্ষা আছে। ৩-৪ মাস সময় দাও, করিয়ে দেব। এটা নিয়েও আদালতে মামলা করেছে কেউ। আদালত আমার হাতে নেই।" নবান্নের বৈঠকে একাধিকবার সেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তোলা হয়। এই মুহূর্তে ভোট সম্ভব নয়, এখন জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা মেনে নিয়ে পালটা দাবি জানিয়েছেন। কী প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা?

কিঞ্জল-আসফাকুল্লাদের দাবি, সন্দীপ ঘোষের মতো লোকেরা মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার চালাত। প্রভাবশালীদের অঙ্গুলিহেলনে এরা ক্ষমতাপুষ্ঠ হয়। তাই সিলেকশনে যে আবার এমনই দানব তৈরি হবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? তাই সিলেকশন নয়, ইলেকশনেই আস্থা জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁদের বক্তব্য শোনার পর মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানালেন, ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানো হবে।