দীপাবলির বাক্সে ভরা হচ্ছে নকল কাজু, এই ধরনের বাদাম শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করবে, আসল কাজু চিনুন এই ৪টি উপায়ে
দীপাবলি বা যে কোনো বড় উৎসব এলেই শুরু হয়ে যায় ভেজাল বা খাবারে নকল তৈরির খেলা। কিন্তু জানেন কী, এই ধরনের জিনিস খেলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি, কাজুবাদামও তৈরি হয় নকল পদ্ধতিতে। কিভাবে চিনবেন কাজুবাদাম আসল নাকি নকল? নকল কাজুবাদাম শনাক্ত করার জন্য রয়েছে ৪টি উপায়।
আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 21 অক্টোবর: আর কয়েকদিন পরেই দীপাবলির(Diwali) উৎসব এবং তার পরেই ভাইফোঁটা এবং ছটপুজোও আসছে। ভারতের যেকোনো উৎসব মিষ্টি, খাবার(food) এবং উপহার (present)ছাড়া অসম্পূর্ণ। দীপাবলিতে মিষ্টি ও উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে। এই দিনে মানুষ শুকনো ফল, বাদামের বাক্স এবং বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি উপহার হিসেবে দেয়।
বিভিন্ন উৎসবে(festival)কাজুর বাক্স দেওয়ার রীতি অনেক পুরোনো দিনের। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, উৎসবের মরসুমে (festival time)চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা নকল ও পুরনো কাজুবাদাম ব্যবহার করেন? কাজু একটি স্বাস্থ্যকর খাবার(healthy food) হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকাল বাজারে নকল কাজুবাদামও(Nuts)পাওয়া যাচ্ছে। আসল এবং নকল কাজুবাদামের মধ্যে পার্থক্য করা মোটেই সহজ কথা নয়। নকল এবং পুরানো কাজু খেলে হজমের সমস্যা, অ্যালার্জি, ফুড পয়জনিং এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ান শিখা আগরওয়াল শর্মা এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, কিভাবে আপনি আসল এবং নকল কাজুবাদাম চিনতে পারবেন।
নকল ও পুরাতন কাজুবাদাম খাওয়ার অপকারিতা
1) হজমের সমস্যা: নকল কাজুতে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকে উত্তপ্ত করতে পারে, যার ফলে বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এই ধরনের কাজু খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে। এর ফলে ফুড পয়জনিংও হতে পারে।
2) ত্বকে ফুসকুড়ি এবং চুলকানি: নকল কাজুতে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি, লাল লাল ভাব এবং চুলকানি হতে পারে।
3) লিভার এবং কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি: নকল কাজুতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা ভারী ধাতু থাকায়, তা দীর্ঘদিন ধরে খেলে শরীরে টক্সিন জমা হতে পারে। যা লিভার এবং কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
4) ক্যান্সারের ঝুঁকি : নকল কাজুবাদাম তৈরিতে ব্যবহৃত কিছু কৃত্রিম রাসায়নিক এবং রঙ ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এগুলো খাওয়ার ফলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও হতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দিতে পারে, যা শরীরের সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে।
কীভাবে চিনবেন আসল কাজু?
1) রং দেখে চিনুন : প্রথমত, আসল কাজুগুলির রঙ সাদা যেখানে নকল কাজুগুলির রঙ হালকা হলুদ। রঙের এই পার্থক্য এক নজরে দেখা যায়। অতএব, কাজু বাদাম কেনার সময়, তাদের রঙের দিকে মনোযোগ দিন।
2) কাজুবাদামের সাইজ দেখে জেনে নিন : আসল কাজুর আকারও গুরুত্বপূর্ণ। আসল কাজু প্রায় 1 ইঞ্চি লম্বা এবং সামান্য পুরু। আকারে পার্থক্য থাকলে বুঝে নিন কাজু বাদাম নকল হতে পারে। আপনি আকৃতি এবং গঠন দেখে নকল কাজু সনাক্ত করতে পারেন।
3) স্বাদের পার্থক্য : আসল ও নকল কাজুর স্বাদে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। আসল কাজু কখনই দাঁতে লেগে থাকে না, যেখানে নকল কাজু দাঁতের মাঝে আটকে যায়। উপরন্তু, নকল কাজু হজম করাও কঠিন। আসল কাজু চিবানোর সময় সহজে ভেঙ্গে যায়, যা সহজে হজম হয়ে যায়। আপনি কাজুর স্বাদ গ্রহণ করে আসল এবং নকল কাজুগুলির মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন।
4) মানের দিকে নজর রাখুন : আসল কাজু সনাক্ত করার আরেকটি উপায় হল তাদের গুণমান বোঝা। আসল কাজু দীর্ঘ সময়ের জন্য নষ্ট হয় না, যেখানে নকল কাজু দ্রুত নষ্ট হতে পারে। নিম্নমানের কাজুতে অনেকসময় পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গ মিশে থাকে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে, আসল কাজু ছয় মাস পর্যন্তও তাজা থাকতে পারে।