জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্যের জিবি বৈঠক টানা ৮ ঘণ্টা!
বিগত দুইদিন হলো আরজিকরের জুনিয়র ডাক্তাররা ফের কর্মবিরতি আন্দোলনে নেমেছে। তাদের দাবি যে, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে যেন পূর্ণ সুরক্ষা থাকে। আর মহিলা চিকিৎসকরা যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে। রাজ্য সরকার ১০ দফা দাবিতে ফের কর্মবিরতিতে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১লা অক্টোবর: বিগত দুইদিন হলো আরজিকরের জুনিয়র ডাক্তাররা ফের কর্মবিরতি আন্দোলনে নেমেছে। তাদের দাবি যে, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে যেন পূর্ণ সুরক্ষা থাকে। আর মহিলা চিকিৎসকরা যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে। রাজ্য সরকার ১০ দফা দাবিতে ফের কর্মবিরতিতে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত জিবি মিটিং হওয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবারের তারা জানিয়েছে যে তাদের দাবি পূরণ না করা হলে কর্মবিরতি চলতে থাকবে। এবং জিবি বৈঠক থেকে প্রয়োজনে ফের কর্মবিরতির পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর জিনি বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষ করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়।কিন্তু নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেনি সরকার। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনাকে তুলে ধরে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিলেন তাঁরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দশ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হল-
১. নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার।
২. স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ।
৩. হাসপাতালগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।
৪. সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা।
৫. হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা।
৬. ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
৭. হাসপাতালগুলির শূন্যপদ পূরণ করা।
৮. হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা।
৯. দ্রুত সমস্ত হাসপাতালে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি বসানো।
১০. প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সম্প্রতি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক নিগ্রহের প্রসঙ্গ ওঠে। আর জি কর মামলার বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা।১০ দফা দাবিতে ফের কর্মবিরতিতে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা।সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত জিবি মিটিংয়ে হওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবেন।