উপনির্বাচনের আগেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে 'ঘৃণাভাষণ'! যথেষ্ট উসকানিমূলক বলে অভিযোগ করেন

রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। আজ বিকেলে উপনির্বাচনের শেষ প্রচার।সামনেই রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন।

উপনির্বাচনের আগেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে 'ঘৃণাভাষণ'! যথেষ্ট উসকানিমূলক বলে অভিযোগ করেন

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১১ নভেম্বর: রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। আজ বিকেলে উপনির্বাচনের শেষ প্রচার।সামনেই রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার আগেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের নির্বাচনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে কুরুচিকর ভাষণ দিচ্ছেন। যার এবং তিনি সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতে চাইছেন। এমনটাই অভিযোগ তুলে ধরছেন তৃণমূল মিডিয়ার কমিটি সদস্য কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজাদের দাবি, শুভেন্দুকে 'সেন্সর' করুক কমিশন। 

শনিবার দিন বিজেপির প্রচার করতে গিয়ে শুভেন্দু, যে বক্তব্য রেখেছিল সেই নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি আছে সেই কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে শুভেন্দু বলেন,''বাংলাদেশের ছবিগুলি দেখেছেন তো? ৫৯৬ টি মন্দির ভেঙেছে। হিন্দুদের উপর কী অত্য়াচার করেছে! এবার পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ করতে চায়।'' এই বক্তব্যগুলি তৃণমূলদের কাছে সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বলে মনে করছে।

সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজারা এই বক্তব্য়ের যথাযথ নথি পেশ করেছেন। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। এর পর সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, ''আমরা কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছি, শুভেন্দুকে সেন্সর করার জন্য। যদিও উপনির্বাচনের প্রচার আজ বিকেলেই শেষ।  কিন্তু বিষয়টা শুধু একটা উপনির্বাচনের জন্য নয়। নানা সময়ে বিজেপির নেতারা এধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য করে থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, বাংলাকে অস্থির করে তোলা ধর্মের ভিত্তিতে। নইলে কেন অযথা বাংলাদেশের হিংসাত্মক পরিস্থিতির তুলনা টানা হচ্ছে?  বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কথা বলা যায় না। সেখানে কী হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। আসলে বিজেপি বুঝে গিয়েছে যে ৬টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বেঘোরে হারবে। তাই এসব বলছে। আমাদের দাবি, বিরোধী দলনেতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে।'' উল্লেখ্য, একই দাবি নিয়ে সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছে তৃণমূলের সংসদীয় দল।