রাজ্যকে হুঁশিয়ারি সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনের
বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে বিক্ষোভ আন্দোলনে বসে জুনিয়ার ডাক্তারেরা। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যকে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি দিল কড়া বার্তা। কাজে ফেরা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষোভরত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দেশ জুড়ে ফের আন্দোলনে নামতে পারে তারা।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১১ই সেপ্টেম্বর:বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে বিক্ষোভ আন্দোলনে বসে জুনিয়ার ডাক্তারেরা। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যকে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি দিল কড়া বার্তা। কাজে ফেরা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষোভরত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দেশ জুড়ে ফের আন্দোলনে নামতে পারে তারা।
ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্তারস অ্যাসোসিয়েশন এবং অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্টস অ্যান্ড জুনিয়র ডক্তরটস জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশন ফোরাম-এর তরফ থেকে হুঁশিয়ারির সুরে স্পষ্ট জানানো হয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে রোগী মৃত্যুর যে হিসেব সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়েছে ভুল। চিকিৎসক সংগঠন দু’টির অভিযোগ, চিকিৎসকদের কাজে ফেরাতে যেভাবে পরোক্ষ চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনই এক প্রেক্ষিতে খুব দ্রুত সব রাজ্যের রেসিডেন্ট ডক্টরস-রা বৈঠক ডাকতে চলেছে। এই বৈঠকেই ঠিক হবে পরবর্তী কর্মসূচি।
সুপ্রিমকোর্টে আরজি কর মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানির পর নিরাপত্তা পরিকাঠামো সুনিশ্চিতের আশ্বাসের ভিত্তিতে সর্বভারতীয় স্তরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে চিকিৎসক সংগঠনগুলি। সংগঠনের অভিযোগ, এখনও চিকিৎসকদের কোন দাবি মেটেনি।
উল্লেখ্য, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিন রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সওয়াল করেন, চিকিৎসার অভাবে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে দায়ী করেছে রাজ্য। চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টেও। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য মিথ্যে কথা বলছে। তারপরই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা।