রায়দিঘিতে জোড়া হত্যাকান্ড! বোলের বাজার এলাকায় লুকিয়েছিল ধৃত

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় পরপর দুটি নৃশংস খুনের ঘটে ২৪ ঘন্টার মধ্যে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই দুটো হত্যাকাণ্ডের মধ্যে একটাই যোগসূত্র হলো দুজনের গলার নলি কাটা।

রায়দিঘিতে জোড়া হত্যাকান্ড! বোলের বাজার এলাকায় লুকিয়েছিল ধৃত

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৫ নভেম্বর:দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় পরপর দুটি নৃশংস খুনের ঘটে ২৪ ঘন্টার মধ্যে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই দুটো হত্যাকাণ্ডের মধ্যে একটাই যোগসূত্র হলো দুজনের গলার নলি কাটা। মঙ্গলবার দিন নিজের কাকাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ এসেছে ভাইপোর বিরুদ্ধে। ওই হত্যাকাণ্ডের পাখি হিসেবে ছিল রায়দিঘির বোলের বাজারের একটি চায়ের দোকান। এমন ঘটনায় পরপর হওয়ায় এলাকাবাসীরা অত্যন্ত আতঙ্কিত। এবং রায়দিঘির পুলিশ খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,কাকা শেখ বাহাদুরের সঙ্গে ভাইপো শেখ সাহাদাতের পারিবারিক বিবাদ চলছিল আর্থিক লেনদেন নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বোলের বাজার। এবং এই নিয়ে একে অপরের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পাড়ার লোকেরা জানিয়েছেন, সাহাদাত বোলের বাজারে কাছে ছুরি নিয়ে লুকিয়ে ছিল মঙ্গলবার সকালে। তার কাকা কিছুক্ষণের মধ্যে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান। অভিযোগ, তাঁকে দেখেই অতর্কিত হামলা চালায় সাহাদাত। মুহূর্তের মধ্যে ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে সারা শরীরে এলোপাথাড়ি কোপ দিতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারী।

চোখের সামনে এমন খুনোখুনি দেখে মুহূর্তের জন্য থমকে যান সকলে। পরে সম্বিত ফিরে পেয়ে শেখ বাহাদুরকে উদ্ধার করতে ছুটে যান পথচলতি মানুষ,দোকানিরা। কোনওক্রমে উদ্ধার করে রায়দিঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত সাহাদাত। সোমবার ভোরে রায়দিঘিতেই রাস্তার উপর গলাকাটা অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকেও খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ফের রাস্তায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ত্রাসের পরিবেশ।