শীতের পথে কাঁটা বৃষ্টি? আগামী দুইদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্গাপুজো, ভাইফোঁটা, কালীপুজো সমস্ত পুজোরামিজ মিটে গেছে। এবার আস্তে আস্তে ঠান্ডার আমেজ টের পাবে বঙ্গবাসী। ভোরের দিকটা হালকা অনুভব হচ্ছে।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৫ নভেম্বর: দুর্গাপুজো, ভাইফোঁটা, কালীপুজো সমস্ত পুজোরামিজ মিটে গেছে। এবার আস্তে আস্তে ঠান্ডার আমেজ টের পাবে বঙ্গবাসী। ভোরের দিকটা হালকা অনুভব হচ্ছে। আর যত বেলা বাড়বে রোদে তীব্রতা এবং গরমও বেশ লাগছিল। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে অতি শীঘ্র আগমনের কোন সম্ভাবনা নেই। তবে বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে। ফলে আগামী দুই তিন দিন ভালো বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
উত্তর বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা এবং তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বুধবার নাগাদ। এর অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূলে। এর জেরে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকতে পারে এ রাজ্যে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলিতে। হাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, এই সময় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। প্রতি ঘন্টায় ৩৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। যার জেরে সতর্ক করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বুধবার থেকে উত্তর-মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
কলকাতায় মূলত শুষ্ক আবহাওয়া, বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত নেই। বুধবার ও বৃহস্পতিবার কুয়াশা ও ধোঁয়াশা থাকবে সকালের দিকে। বিকেলের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ। নতুন করে তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা কম আগামী চার-পাঁচ দিন। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৩ থেকে ৯৫ শতাংশ।