দিল্লির সিআরপিএফ স্কুল হামলা! বিস্ফোরণের ঘটনায় খলিস্তান যোগের তদন্তে নামল দিল্লি পুলিশ

দিল্লিতে কয়েকদিন ধরেই দেশ ভয়ানক বিস্ফোরণ ঘটছিল। কয়েকদিন হল জানা গিয়েছে, দিল্লির সিআরপিএফ স্কুলের এই অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে খলিস্তান সংগঠন! এদিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজের টেলিগ্রামে এই বিস্ফোরকের দায় এসে পড়ল খলিস্তানপন্থী সংগঠন।

দিল্লির সিআরপিএফ স্কুল হামলা! বিস্ফোরণের ঘটনায় খলিস্তান যোগের তদন্তে নামল দিল্লি পুলিশ

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২১ অক্টোবর: দিল্লিতে কয়েকদিন ধরেই দেশ ভয়ানক বিস্ফোরণ ঘটছিল। কয়েকদিন হল জানা গিয়েছে, দিল্লির সিআরপিএফ স্কুলের এই অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে খলিস্তান সংগঠন! এদিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজের টেলিগ্রামে এই বিস্ফোরকের দায় এসে পড়ল খলিস্তানপন্থী সংগঠন। তার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিষয়টির প্রকাশ্যে আসার পর খলিলস্থায়ী যোগ নিয়ে দিল্লী পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করে।

দিল্লির রোহিণী প্রশান্ত বিহার এলাকা রবিবার সকালে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে। সেখানে রয়েছে CRPF নামে এক স্কুল। সেখানেই বোমা টা ফাটে। এবং বোমাটি কাটার পর বিদঘুটে একটা গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এবং সবার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সেখানে অনেক দোকানপাট গাড়ি এবং লোকজন বসবাস করে সেই জায়গাগুলি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এরপর এনআইএ ও পয়েন্টসের বিভাগ বিস্ফোরণের পরই ঘটনার তদন্তে নামে। গ্যাসটি কঠিন ও তরল পদার্থের মধ্যে উচ্চচাপে সৃষ্টি হয়েছে। এবং দ্রুতগতিতে বিস্ফোরকের পরই গ্যাসটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তার ফলে বেশ শক্তিশালী একটা কম্পন অনুভূত হয়। যা আশপাশের এলাকায় শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে পৌঁছয়। রাজধানীর বুকে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, কানাডার মাটিতে খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারত সরকারকে দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যদিও সেই ঘটনার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ভারত। পালটা বলা হয়েছে, বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কানাডা সরকার নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পেশ করেনি। অন্যদিকে, আমেরিকার এফবিআই-এর তরফে দাবি করেছে, ভারতে ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিস’-এর নেতা গুরপতবন্ত সিং পন্নুনকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রাক্তন 'র' এজেন্ট বিকাশ যাদব এবং তাঁর সঙ্গী নিখিল গুপ্ত। বিকাশকে মোস্ট ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছে আমেরিকা। এ অভিযোগও ঝেড়ে ফেলেছে ভারত সরকার। একের পর এক এই ঘটনার জেরে দিল্লি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে খলিস্তানিরা ভারত সরকারকে বার্তা দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।