তবে কি এবার কমলো দূরত্ব?জেল থেকে জামিনের পরে প্রথম একসাথে অনুব্রত ও কাজল

কয়েকদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ এরা দুজনেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। শোনা যাচ্ছে সোমবার তাদেরকে এক মঞ্চে দেখা যাবে। তবে কি অবশেষে মিটলো দূরত্ব। তারা তৃণমূলের বিজয় সম্মেলনে দুজনে আসার সম্মতি দিয়েছে। যাকে ঘিরে বীরভূমের রাজনৈতিক মহল প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

তবে কি এবার কমলো দূরত্ব?জেল থেকে জামিনের পরে প্রথম একসাথে অনুব্রত ও কাজল

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২১ অক্টোবর:কয়েকদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ এরা দুজনেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। শোনা যাচ্ছে সোমবার তাদেরকে এক মঞ্চে দেখা যাবে। তবে কি অবশেষে মিটলো দূরত্ব। তারা তৃণমূলের বিজয় সম্মেলনে দুজনে আসার সম্মতি দিয়েছে। যাকে ঘিরে বীরভূমের রাজনৈতিক মহল প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কারণ জেল থেকে জামিনের পর তৃণমূল জেলার সভাপতি অনুব্রত ও জেলা সভাধিপতি কাজল শেখকে একসঙ্গে আগে কক্ষনো প্রকাশে আসেননি।

তাদের গত চারটে দলীয় বিজয় সম্মিলনী একসাথে দেখা যায়নি। তাদের দুজনের দলীয় দপ্তরে দেখা হয়েছিল। কেষ্ট ও কাজল এই নামেই তাদেরকে চিনত সবাই। কালে তারা আলাদা আলাদা সভায় ছিলেন।এমনকি জেলায় মহম্মদবাজারে দলীয় কর্মীর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গেলেও একই সময়ে জেলায় বিজয়া সম্মিলনীতে কেষ্টর পাশে কাজল শেখকে দলের জনসভায় দেখা যায়নি। অপরদিকে, তৃণমূল থেকে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে সিউড়ি দুই ব্লকের নাম ছিল না। বরং অনুব্রত মণ্ডলের প্রায় এই একই সময় বিকেল তিনটে নাগাদ সিউড়ির এক নম্বর ব্লকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তিনি উপস্থিত না থাকায় দলের মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে যথেষ্ট গোল বাজে।পুরন্দরপুরে বিজয়া সম্মেলনে অনড় থাকেন ব্লক সভাপতি নুরুল শেখ। শেষ পর্যন্ত কমিটি আজ যে নির্দেশে দ্বিতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন।তাতে বিকেল তিনটের সময় পুরন্দরপুরে অনুব্রত মণ্ডলের থাকার কথা। তাকে ওই পথেই সিউড়ি আসতে হবে।

তাছাড়া রাজনৈতিক জীবনে অনুব্রত মণ্ডল যে আন্দোলন শুরু করেছেন, তা ওই পুরন্দরপুরের মাঠ থেকে। সেখানে এবার বদল এনেছেন তিনি। মুরারই থেকে শুরু করেছেন বিজয়া সম্মেলন। তাই নিজের পয়া মাঠ পুরন্দরপুরে একবার অন্তত আসবেন। পাশাপাশি অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আন্দোলনের সাথী ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম এখন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। যে পরিষদের নেতা কাজল শেখ। তাই তার সহযোগীর সভায় কাজল শেখ আসবেন বলে আগেই জানিয়েছেন। বোলপুর থেকে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে নিয়ে তিনি পুরন্দরপুরে আসবেন। তবে একসঙ্গে এক মঞ্চে কেষ্ট-কাজল থাকবেন কিনা সেটাই দেখার। দলীয় সূত্রে খবর, সিউড়ি আসার পথে অনুব্রত একবার অন্তত পুরন্দরপুরে যাবেন। তিনি মঞ্চ ছাড়লে দেবাংশুর সঙ্গে মঞ্চে আসবেন কাজল। নাকি দুজনে একইসঙ্গে এক মঞ্চে থাকবেন, সেটাই এখনও দেখার। আগামীতে বীরভূম জেলা তৃণমূলের রাজনীতির স্রোত কোন খাতে বইবে তা ঠিক করবে আজকের বিকেলের সভা।