ফের অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ, জলা জমি বুজিয়ে বহুতল নির্মাণ ভাঙড়ে
ফের অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ, জলা জমি বুজিয়ে বহুতল নির্মাণ ভাঙড়ে
কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে জমি মাফিয়ারা। অবৈধ নির্মাণ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধিরা। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বেঁওতা, বামনঘাটা অঞ্চল এবং ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের তাড়দহ অঞ্চলের অধিকাংশ জমি জলাভূমি। নিউটাউন লাগোয়া হওয়ায় জমির দাম আকাশ ছোঁয়া। ফলে জমি মাফিয়ারা জলাভূমি ভরাট করে তা চড়া দামে বিক্রি করছেন। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদ থেকে বিরোধীরা। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছে। নিউটাউন লাগোয়া ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বেঁওতা ,আবাদপাড়া, ভাবার মাঠ, পাচুড়িয়া, ধর্মতলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাভূমি ভরাট করে গড়ে তোলা হচ্ছে বেআইনি বহুতল, এই কাজে পুলিশের ও মদত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। গার্ডেনরিচ কান্ডের পর ভাঙড়ে জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন নি বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ প্রশাসন সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না শাসক দলের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি বলেন, অবৈধ নির্মাণ এ রাজ্যে একটা শিল্প। ওয়েটল্যান্ড বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে পাঁচশো জন তৃণমূল নেতা জড়িয়ে আছে। এই ভাবে অবৈধ নির্মাণের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ওয়েটল্যান্ডের উপরে এই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে।ডিএম কে আদালত নির্দেশ দিয়েছে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করার জন্য কিন্তু তার পরেও চলছে নির্মাণ কাজ।
এ বিষয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক সওকাত মোল্লা বলেন, ওয়েটল্যান্ডের উপরে নির্মাণ কখনো সমর্থন যোগ্য নয়।পুলিশ প্রশাসন কে অনুরোধ করব অবিলম্বে এই কাজ বন্ধ করার জন্য।
এই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সাবির আলি বলেন, এই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আমি বিডিও সাহেব কে চিঠি দেব বন্ধ করার জন্য।