রাষ্ট্রপতিকে চিঠি জুনিয়র চিকিৎসকদের!

বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর ফের সল্টলেকের অবস্থান মঞ্চে ফিরে আসেন তাঁরা। তবে কোনও নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনও সুরাহা না হওয়ায় এবার হাঁটলেন বিকল্প পথে।

রাষ্ট্রপতিকে চিঠি জুনিয়র চিকিৎসকদের!

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয় কর্মকার,১৩ ই সেপ্টেম্বর: বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর ফের সল্টলেকের অবস্থান মঞ্চে ফিরে আসেন তাঁরা। তবে কোনও নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনও সুরাহা না হওয়ায় এবার হাঁটলেন বিকল্প পথে। অচলাবস্থা কাটাতে এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি পাঠালেন তাঁরা।

জানা যাচ্ছে, শুধু রাষ্ট্রপতি নয়, পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকী, চিঠি গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছেও। এই চিঠি পাঠানোর প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, তাঁরা নবান্ন পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা তাঁদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে তাঁরা মনে করছেন এই অচলাবস্থা কাটাতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়া একান্ত প্রয়োজন।

জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফ থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে শুক্রবার তাঁরা চার পাতার এক চিঠি পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে। সেখানে ৮ অগাস্ট তিলোত্তমার ঘটনা থেকে শুরু করে এখনও অবধি যা যা ঘটেছে তা সবটা চিঠিতে তুলে ধরেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা বলার চেষ্টা করছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তার বিষয় সুনিশ্চিত হলেও রাজ্যের বাকি মেডিক্যাল কলেজে আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠনের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতিকে আগেও চিঠি দিয়ে আমরা জানিয়েছিলাম এই বিষয়ে আপনি নজর দিন। নতুন করে জুনিয়র ডাক্তাররা আবারও চিঠি পাঠিয়েছেন। এটা তো ঘটনা যে, রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকায় জুনিয়র চিকিৎসকরা সম্পূর্ণ হতাশ। আর তাঁরা যদি হতাশ হন, তাঁরা তো রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেনই। এটাই স্বাভাবিক।’ 

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘কেন্দ্রের কাছে, রাষ্ট্রপতির কাছে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসকদের আন্দোলনের দাবি জনস্বার্থ সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত। আর এই বিষয় নিয়ে যা সমাধান করার তা রাজ্য সরকারকেই করতে হবে। তবে রাজ্য সরকারের অপদার্থতার জন্যই এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত হচ্ছে।’