মমতার ডাক্তারিতে প্রাণ বাঁচল পরেশের

পরেশকে দেখা মাত্রই মমতা বলেন, ‘তোমার ভিতরে ভিতরে কিছু একটা হচ্ছে। চোখমুখ দেখে আমার ঠিক লাগছে না।’ যদিও এ বিষয়ে পরেশ দাবি করেন, তিনি ঠিক আছেন।

মমতার ডাক্তারিতে প্রাণ বাঁচল পরেশের

কলকাতা : তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্ধোপাধ্যায়ের দৌলতে যমের দুয়ার থেকে ফিরে এলেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। সোমবার বিকেলে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ, স্বপন সমাদ্দার, পরেশ পাল এবং কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষও। জানা গিয়েছে, বৈঠক শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই সেখানে পৌঁছন পরেশ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরেশকে দেখা মাত্রই মমতা বলেন, ‘তোমার ভিতরে ভিতরে কিছু একটা হচ্ছে। চোখমুখ দেখে আমার ঠিক লাগছে না।’ যদিও এ বিষয়ে পরেশ দাবি করেন, তিনি ঠিক আছেন। তাঁর কোনও শারীরিক অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু এই বিষয়টি ঠিক লাগেনি মমতার। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার একজন নামি চিকিৎসকের নাম করে আমলাদের নির্দেশ দেন, তিনি সেই মুহূর্তে কোথায় আছেন তার খোঁজ নিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই চিকিৎসক কোথায় আছেন জানা গেলে, মুখ্যমন্ত্রী কুণাল ও স্বপনকে নির্দেশ দেন পরেশকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। 

এই নির্দেশ পাওয়া মাত্রই কুণাল ঘোষ, স্বপন সমাদ্দার দ্রুত পরেশ পালকে নিয়ে হাসপাতালে যান। সোমবার সন্ধ্যাবেলায় মস্তিষ্কের স্ক্যান করা হয় পরেশের। তারপরে এমআরআইও করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরীক্ষায় ধরা পড়ে, মস্তিষ্কে অল্প অল্প করে রক্ত জমাট বাঁধছে বেলেঘাটার বিধায়কের। দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয় তাঁর। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় পরেশের শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইসিইউ থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কেবিনে।

এখন আপাতত স্থিতিশীল পরেশ পাল। বর্তমানে পরেশের কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়া সব কিছুই অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
কুণাল বলেন, ‘মমতাদির অসাধারণ পর্যবেক্ষণের জন্য বড় বিপদ থেকে পরেশদাকে রক্ষা করা গেল। সোমবার দেখলাম, তাঁর পর্যবেক্ষণ কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে গেল।’