ভোটের মধ্যেই উদ্ধার কোটি কোটি টাকা, নাম জড়াল মন্ত্রীর

ফের উদ্ধার টাকার পাহাড়। এক মন্ত্রীর সচিবের পরিচারকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

ভোটের মধ্যেই উদ্ধার কোটি কোটি টাকা, নাম জড়াল মন্ত্রীর

আজ এখন নিউজ ডেস্কঃ ফের উদ্ধার টাকার পাহাড়। বিগত কিছু সময়ে ইডির (Enforcement Directorates) অভিযানে টাকা উদ্ধারের ঘটনা বারংবার সামনে এসেছে। এবার ফের একবার সেই একই দৃশ্য দেখল দেশবাসী। আগামীকাল তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ। তার আগেই ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এক মন্ত্রীর সচিবের পরিচারকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী (Jharkhand Rural Development minister) আলমগীর আলমের (Alamgir Alam) ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের (Sanjiv Lal) পরিচারকের  বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)  সোমবার সকাল থেকেই রাঁচীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডির আধিকারিকেরা। মন্ত্রী আলমগির আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের পরিচারকের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।

                               
জানা গিয়েছে রাঁচি (Ranchi) শহরের একাধিক জায়গায় রবিবার তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি এলাকা আজমগড়ের (Azamgarh) বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ২০২৩ সালে প্রথম টেন্ডার দুর্নীতি (Jharkhand Tender Scam) মামলায় অভিযান চালায়। এই মামলাতেই ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী আলমগির আলমের (MLA Alamgir Alam) সচিব সঞ্জীব লালের পরিচারকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণ নগদ। ঝাড়খণ্ডের মোট ন’টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
 

২০২৩ সালে টেন্ডার দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রামোউন্নয়ন দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র রামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি আধিকারিকরা। এবার এই মামলার গ্রেফতার হলেন সঞ্জীব লাল। ভোটের আবহে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি মুখপাত্র প্রতুল সাহু বলেন, “রাজ্যে দুর্নীতির শেষ নেই। এই পরিমাণ নগদ উদ্ধারের ঘটনা ইঙ্গিত দেয় চলমান লোকসভা নির্বাচনে তারা এই টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।"

সোমবার সকালে মন্ত্রী-সচিবের পরিচারকের বাড়ি থেকে এই টাকার পাহাড় উদ্ধারের দৃশ্য দেখে অনেকের মনে পড়ে যেতে পারে ২০২২ সালের ঘটনা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা পেয়েছিল ইডি। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি তাঁরা।