অনশন মঞ্চে বায়ো টয়লেট বসানো নিয়ে জটিলতা! মেলেনি পুলিশের অনুমতি
ধর্মতলার চিকিৎসকদের আমরণ অনশন মঞ্চে সোমবার দিন সকালের কাছে বায়ো টয়লেট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে জল পৌঁছানো হয় কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে কোন রকমেরই অনুমতি পাওয়া যায়নি।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ৭অক্টোবর: ধর্মতলার চিকিৎসকদের আমরণ অনশন মঞ্চে সোমবার দিন সকালের কাছে বায়ো টয়লেট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে জল পৌঁছানো হয় কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে কোন রকমেরই অনুমতি পাওয়া যায়নি।
অনশনকারীদের দাবি যে তাঁরা আমরণ অনশন করছেন যখন তাহলে ধীরে ধীরে তাঁদের শারীরিক অবস্থা যদি দুর্বল হয়ে পড়ে তখন কে দায় নেবে। তাই দূরে কোথাও শৌচাগারে ব্যবস্থা করাটা অসম্ভব। ফলে কারো শারীরিক অসুস্থতা যদি বাড়ে সে কথা মাথায় রেখে ধন্যা মঞ্চের কাছেই শুধুমাত্র আন্দোলনকারীদের জন্য পুরুষ এবং মহিলাদের ব্যবহারে দুটি পৃথক বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এই সব যুক্তিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। পুলিশের দাবি, ধর্মতলা চত্বর গ্রিন জোন। তাই সেখানে বায়ো টয়লেট বসানো অসম্ভব। পুলিশের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও অবশ্য সোমবার সকালে দুটি বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে।
গত ৯ আগস্ট, আর জি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে সুবিচার, নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথম দফায় টানা ৪১ দিনের মাথায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তাঁরা। গত মাসের শেষের দিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিও হয়। তার পর দীর্ঘ জিবি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যদিও গত শুক্রবার মাঝরাত থেকে কাজ ফেরেন তাঁরা। তবে দশ দফা দাবিপূরণের ডেডলাইন দিয়ে ধর্মতলায় ধরনা কর্মসূচি শুরু করেন। দাবিপূরণ না হলে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে আমরণ অনশন। ওই অনশন মঞ্চের কাছে বায়ো টয়লেট বসানো নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।