বোমাবাজিতে উত্তপ্ত ভাঙর
এই ঘটনায় রফিক ও এক শিশু-সহ ১১ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করান হয়। বাকিরা জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি।
জেলা সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শনিবার ভোটের আগে ফের বোমাবাজির ঘটনায় উত্তাল জিরানগাছি। দলীয় প্রচার সেরে বাড়িতে ফেরার সময় তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বোমা মারার অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এক শিশু ও পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১১ জন জখম হয়েছেন বলে দাবি। অপরদিকে, নওশাদ সিদ্দিকির দাবি, এই ঘটনা তৃণমূলই করেছে। এখন তাঁদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতে এলাকার তৃণমূল নেতা রফিক খানের নেতৃত্বে কর্মীরা দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীদের নিশানা করে আইএসএফ কর্মীরা এলোপাথাড়ি বোমা ছোড়েন। এই ঘটনায় রফিক ও এক শিশু-সহ ১১ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করান হয়। বাকিরা জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। তাঁদের দেখতে গিয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘হেরে যাওযার ভয়ে সন্ত্রাস করছে আইএসএফ। নির্বাচনের দিন আমি ভাঙড়ে থাকব। সিপিএম, বিজেপি ও আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙ্গড়কে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে।’ রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। মানুষ আর সঙ্গে নেই তাঁদের। সেই কারণে সন্ত্রাস করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে জোর করে ভোট লুট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই হিংসার ঘটনা প্রমাণ দিচ্ছে, ভাঙড়ে বিরোধীদের কোনও অস্তিত্ব নেই।’ উল্লেখ্য, এর আগেও পঞ্চায়েত ভোটের সময় বারংবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙর। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছিল সেই সময়।