আয়রন সমৃদ্ধ এই সবুজ পাতা চাষ করলে দীপাবলিতে আসবে লক্ষ্মীর আগমন, জেনে নিন বপনের পদ্ধতি

লৌহ সমৃদ্ধ এই সবুজ পাতার চাষ করলে দীপাবলিতে ঘটবে দেবী লক্ষ্মীর আগমন। পালং শাক (Spinach) চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী শীতের মৌসুম। অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে পালং শাক বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। দীপাবলির আশেপাশে বাম্পার উৎপাদনের জন্য সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে বপন করা ভাল। এই ফসলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। সারা বছরই এর চাহিদা থাকে। জুন মাসে জন্মানো পালং শাক-জুলাইয়ের শুরুতে শীতকাল পর্যন্ত অনেক কাটিং দেয়। বর্ষায় বপন করা পালং শাকের খুব বেশি জলের প্রয়োজন হয় না। এতে কৃষকদের জলের খরচও বাঁচে।

আয়রন সমৃদ্ধ এই সবুজ পাতা চাষ করলে দীপাবলিতে আসবে লক্ষ্মীর আগমন, জেনে নিন বপনের পদ্ধতি

আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 25 অক্টোবর: লৌহ সমৃদ্ধ এই সবুজ পাতার চাষ করলে দীপাবলিতে ঘটবে দেবী লক্ষ্মীর আগমন। পালং শাক (Spinach) চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী শীতের মৌসুম। অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে পালং শাক বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। দীপাবলির আশেপাশে বাম্পার উৎপাদনের জন্য সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে বপন করা ভাল। এই ফসলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। সারা বছরই এর চাহিদা থাকে। জুন মাসে জন্মানো পালং শাক-জুলাইয়ের শুরুতে শীতকাল পর্যন্ত অনেক কাটিং দেয়। বর্ষায় বপন করা পালং শাকের খুব বেশি জলের প্রয়োজন হয় না। এতে কৃষকদের জলের খরচও বাঁচে।

সারিতে বপন: সারি করে পালং শাকের বীজ বপন করুন।

বীজের দূরত্ব: বীজের মধ্যে 10-15 সেমি এবং সারির মধ্যে 20-25 সেমি দূরত্ব রাখুন।

গভীরতা: বীজ মাটিতে 1-2 সেন্টিমিটার গভীরে বপন করুন।

পালং শাকের দাম কত?

এই প্রসঙ্গে এক কৃষককে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, তিনি এক হেক্টর জমিতে প্রায় ৩০ কেজি বীজ ব্যবহার করেছেন। পালং শাকের জন্য মাঠ তৈরির আগে তিনি গোবর সার ব্যবহার করেছেন। তিনি গড় পরিমাণে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ ব্যবহার করেছেন। প্রথম কাটিং 25 দিনে এবং দ্বিতীয় কাটিং প্রায় 30 দিনের মধ্যে করা হয়। 25 দিনে তৈরি প্রথম পালং শাকের কাটিং ইতিমধ্যে বাজারে চলে গেছে। বাজারে পালং শাক প্রায় ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে, জানান এই কৃষক।

ভালো লাভ পাবেন

 তিন মাস ধরে হিসেব করলে এক হেক্টরে প্রায় তিন লাখ টাকা সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খরচ আনুমানিক 15 হাজার টাকা। এমনকি যদি আপনার কঠোর পরিশ্রম যোগ করা হয়, তবুও আপনি ভাল লাভ পাবেন। হারদোইয়ের জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক জানান, পালং শাকে পোকার প্রকোপ কম। হারদোইয়ের কৃষকরা নিম পাতার দ্রবণ স্প্রে করে তাদের ফসল পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করছে। আগাছা নিয়ন্ত্রণের জন্য সময়ে সময়ে ক্ষেতের আগাছা দেওয়া হয়।

পালং শাক (Spinach) কোন ঋতুতে ভালো ফলন দেবে?

এই ফসল কৃষকদের জন্য খুবই উপকারী। পুসা ভারতী, পুসা পালক, পুচা হারিতের মতো প্রায় ১৬টি প্রধান পালং শাকের জাত রয়েছে। এই শাক শীতকালে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে, গ্রীষ্মকালে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এবং বর্ষাকালে জুন-জুলাই মাসে চাষ করা যায়। এটি এমন একটি ফসল, যা কৃষকদের সারা বছর লাভ দেয়।

পাতাগুলো শিকড় থেকে প্রায় ৬ সেন্টিমিটার দূরত্বে কেটে বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। একটি ভাল ফসল প্রায় 20 দিনের মধ্যে কাটার জন্য প্রস্তুত হয়। ডাঃ শের সিং বলেন, পালংশাক আয়রন সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার। এটি জন্ডিস রোগীদের জন্য একটি ওষুধের মতো মত কাজ করে।