এবার অরন্ধন পালনে তিলোত্তমার পরিবার! জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে সাড়া
প্রতি মুহূর্ত কাটে যন্ত্রণায়। এই প্রথমবার যেখানে পুজোয় তার মেয়ে নিয়ে কাছে। যতক্ষণ না এই নৃশংস পরিণতির সুবিচার পাচ্ছি, ততক্ষণ স্বস্তি নেই। নিজেদের ব্যক্তিগত কষ্টকে সরিয়ে রেখে বিচারের দাবিতে নামলেন অভয়ার বাবা মা। তাদের পাশে রয়েছে জুনিয়ার ডাক্তারা।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১৪ই অক্টোবর: প্রতি মুহূর্ত কাটে যন্ত্রণায়। এই প্রথমবার যেখানে পুজোয় তার মেয়ে নিয়ে কাছে। যতক্ষণ না এই নৃশংস পরিণতির সুবিচার পাচ্ছি, ততক্ষণ স্বস্তি নেই। নিজেদের ব্যক্তিগত কষ্টকে সরিয়ে রেখে বিচারের দাবিতে নামলেন অভয়ার বাবা মা। তাদের পাশে রয়েছে জুনিয়ার ডাক্তারা। সারাদিন অনশন করে তাদের মন এবং শরীর দুর্বল। কিন্তু তাতে কী? তাতে তো মেয়েকে হারানোর শোক তো কোনমতেই মুছে দেওয়া যায় না। উমা বিদায়ের দিন রবিবার, যখন মেয়ের সহকর্মীরা অরন্ধনের ডাক দিয়েছেন, সেই অরন্ধনে সমানভাবে অংশগ্রহণ নিয়েছে তিলোওমার পরিবার। অসুস্থ শরীর নিয়েও বাবা বললেন, ''ওরা বলেছিল, আমাদের অরন্ধন না করতে। আমাদের শরীর ভালো নেই খুব একটা। কিন্তু যতক্ষণ পারি, আমরা না খেয়ে থাকব।''
এদিন রবিবার অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নির্যাতিতার মা বাবা। এই প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন,"আমরা অরন্ধন পালন করছি। চেষ্টা করছি উপোস করে থাকার। যতক্ষণ পারব, উপোস করে থাকব। একথা জুনিয়র ডাক্তারদেরও জানিয়েছি। ওঁরা বারণ করেছিল, তবুও ঠিক করেছি যতক্ষণ শরীর দেবে, করব।" বাবার কথায়, "অনশন করে তিনজন চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এটা আমাদের খুব দুঃখ দিয়েছে। চাই না আর কেউ অসুস্থ হোক। আমরা যেমন মেয়ে হারিয়ে যন্ত্রণায় আছি, যারা অনশন করছেন, তাদের পরিবারও কষ্টে রয়েছে।"
অভয়ার মায়ের বক্তব্য, "জুনিয়র চিকিৎসকরা এতদিন না খেয়ে আছেন, অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এনিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। চাইব প্রশাসন দ্রুত আলোচনা করে সুস্থ সমাধান করুক।" একইসঙ্গে এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে রোগীর পরিবারের উপর হামলা, মারধর করার প্রসঙ্গ তুলে মা-বাবার প্রতিক্রিয়া, ''এতে বোঝাই যাচ্ছে নিরাপত্তার যে অভাব ছিল, সেটা এখনও আছে।''