বাঁশদ্রোণীর এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে চলছে ধুন্দুমার কান্ড!
আজ মহালয়া। চারিদিকে পূজোর রেশ লেগে গেছে। তার মধ্যে এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটনাকে নিয়ে উত্তপ্ত গোটা বাঁশদ্রোণীর এলাকার মানুষ। সেখানকার বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এমনটি, তাদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২রা অক্টোবর: আজ মহালয়া। চারিদিকে পূজোর রেশ লেগে গেছে। তার মধ্যে এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটনাকে নিয়ে উত্তপ্ত গোটা বাঁশদ্রোণীর এলাকার মানুষ। সেখানকার বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এমনটি, তাদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তারা সবাই মিলে রাস্তা সারাইয়ের জন্য পে লোডার সহ একাধিক গুলি ভাঙচুর করছে। এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যে এই ঘটনা বিক্ষোভ ততক্ষণ চলবে যতক্ষণ না তৃণমূল কাউন্সিলের বিধায়ক আসবেন।
সেই পড়ুয়াটি নাম সৌম্য শীল সে নবম শ্রেণীর ছাত্র এবং সেই দিন সৌম্য সাইকেল নিয়ে পড়তে যাচ্ছিল। সে দেখে একটি জেসিবি তার পিছন দিয়ে আসছে যার জন্য ছেলেটি রাস্তা ছেড়ে পাশে দাঁড়ায়। দীনেশ নগর অটো স্ট্যান্ডের সামনে একটি গাছের গোড়ায় সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। পে লোডার বা জেসিবিটি যাওয়ার সময় পড়ুয়াকে ধাক্কা মারে। ছেলেটি খুবই খারাপ ভাবে জখম অবস্থায় রাস্তায় লুকিয়ে পড়েছিল। সবাই মিলে তাকে তড়িঘড়ি করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১৫ বছর ধরে বেহাল দশা রাস্তার। কখনও অর্ধেক কাজ হয়। সব টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ঠিকাদাররা। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার দীর্ঘসময় পর পুলিশ আসায় ক্ষোভ আরও চরমে ওঠে। ভাঙচুর হয় গাড়িতে। পুলিশকে আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। তাড়া করা হয় পুলিশ কর্মীদের। এমনকী, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেও মারধর করা হয়। পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে আসেননি। এলাকাবাসীর দাবি, বেহাল রাস্তার কথা বার বার কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।