হাওড়া লিলুয়াতে শোকের ছায়া! ফের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিনজনের

হাওড়ার লিলুয়ার আনন্দনগরের বাসিন্দা সুজয় মজুমদার, রিঙ্কি মজুমদার এবং তাঁদের এক বন্ধু সৌরভ দাস লিলুয়া থেকে ডানকুনি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। লরির চাকায় পিষ্ট হন এরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এদের উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

হাওড়া লিলুয়াতে শোকের ছায়া! ফের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিনজনের

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২রা অক্টোবর:পুজোর শুরুতেই যেন বিষাদের সুর। হাওড়ায় রাতের শহরে ঘাতক লরি পিষে দিল স্বামী-স্ত্রী সহ তিন বাইক আরোহীকে।মহালয়ার আগের দিন মঙ্গলবার গভীর রাতে মর্মান্তিক ওই পথ দুর্ঘনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এদের মধ্যে এক দম্পতি এবং তাঁদের এক বন্ধু রয়েছিল। এরা ছিলেন একই মোটর বাইকে। 

পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, হাওড়ার লিলুয়ার আনন্দনগরের বাসিন্দা সুজয় মজুমদার, রিঙ্কি মজুমদার এবং তাঁদের এক বন্ধু সৌরভ দাস লিলুয়া থেকে ডানকুনি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। লরির চাকায় পিষ্ট হন এরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এদের উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় লিলুয়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডানকুনির দিকে যাওয়ার সময় বালিহল্ট সিসিআর ব্রিজের উপর ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিশ্চিন্দা থানা এবং বালি ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ এদের উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে এদের ৩ জনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতদের নাম সুজয় মজুমদার, রিঙ্কি মজুমদার এবং সৌরভ চন্দ্র দাস। এরা সকলেই লিলুয়ার আনন্দনগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ঘাতক গাড়িটির খোঁজ মেলেনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বন্ধু আকাশ সামন্ত বলেন, রাত আড়াইটে নাগাদ থানা থেকে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ৩ জনকেই গাড়িতে পিষে দিয়েছে। এরা ৩ জন একই বাইকে করে যাচ্ছিল। কোথা থেকে ওরা আসছিল তা জানা যায়নি। বাইকে স্বামী, স্ত্রী এবং তাদেরই এক বন্ধু ছিলেন। তাঁদের উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে বাড়িতে জানানো হয়। প্রায় ৫ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল মৃত দম্পতির। অন্যদিকে, নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়া বসুকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবু মণ্ডল বলেন, আমি এদিন সকালে শুনলাম আমার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আনন্দনগরের বাসিন্দা এক স্বামী-স্ত্রী সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের বাড়ির লোকেরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য। পুজোর মধ্যে এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চাই যানবাহন সঠিকভাবে চলুক। সাবধানতা অবলম্বন করুক। এখনকার কমবয়সী ছেলেরা রেস করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। এমন অনেকে মারাও গিয়েছে। ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রশাসনকে জানানো আছে পুজোর সময় বেপরোয়া গাড়ি চালালে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।